পুলিশের সব পদ ও ইউনিটে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
Advertisement
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে কৌশলগত পরিকল্পনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি জানান, নারী পুলিশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সমর্থন, পুলিশে নারীদের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, জেন্ডার সংবেদনশীল পুলিশ পরিষেবা প্রদান এবং সমাজে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কৌশলগত লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) তিন বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
আইজিপি বলেন, পুলিশে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিপিডব্লিউএন। বিপিডব্লিউএনের তিন বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ পুলিশে নারীদের প্রতিনিধিত্ব সুসংহত হবে। নারীদের সহায়ক কর্মপরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে জেন্ডার সংবেদনশীল পুলিশ পরিষেবা প্রদান নিশ্চিত হবে।
Advertisement
বেনজীর আহমেদ জানান, বাংলাদেশ পুলিশে নারী সদস্যদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের কর্মপরিবেশ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে নারী সহকর্মীদের সহযোগিতার জন্য পুরুষ সহকর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, ১৫ হাজার নারী পুলিশ সদস্যের এক বিশাল পেশাজীবী সংগঠন বিপিডব্লিউএন। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ নেটওয়ার্ক গত ১৩ বছরে দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে ও তাদের অস্তিত্ব জানাতে সক্ষম হয়েছে।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের সব থানায় নারী, শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ ডেস্ক চালু করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার রয়েছে, যেখানে ভিকটিম নারী ও শিশুদের সহায়তায় পুলিশ কাজ করছে। ভবিষ্যতে নারী ও শিশুর কল্যাণে এ ধরনের উদ্যোগ আরও বেগবান করা হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ের শিকার নারীদের সহায়তায় পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ফেসবুক পেজ চালু করছেন বলে জানান পুলিশপ্রধান। নারী পুলিশ সদস্যদের দিয়েই এ পেজটি পরিচালনা করা হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো। যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ইউএন উইমেনের জ্যেষ্ঠ পুলিশ অ্যাডভাইজার জেন টাউন্সলে এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিডব্লিউএনের সভাপতি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি (প্রটেকশন অ্যান্ড প্রটোকল) আমেনা বেগম।
মিয়া সেপ্পো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে জেন্ডার সংবেদনশীল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতিসংঘ কাজ করছে। তিনি রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের নারী পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদানের কথা উল্লেখ করেন।
আমেনা বেগম তার বক্তব্যে বিপিডব্লিউএনের কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি এ কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, বিপিডব্লিউএনের সদস্য এবং ইউএন উইমেন বাংলাদেশের হেড অব অফিস গীতাঞ্জলি সিং ও হেড অব সাব অফিস ফ্লোরা ম্যাকুলা।
টিটি/জেডএইচ/এমএস