প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিম্নমুখী ধারায়ই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬৩৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৮০৫ জনে।
Advertisement
একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৬৮৪ জনে।
৫৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন ও নারী ৩৭ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১১ জন ও বাসায় একজন মারা যান এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় একজনকে আনা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৭৯৯টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ২৩৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৭ হাজার ৪৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪৩টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৬৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৫৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৫৪ জন। সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক শূন্য ১১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৫৬ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২০ জন, ষাটোর্ধ্ব ১১ জন, সত্তরোর্ধ্ব নয়জন, আশি-ঊর্ধ্ব ছয়জন ও ৯০ বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন।
Advertisement
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে তিনজন, খুলনায় ছয়জন, বরিশালে চারজন, সিলেটে পাঁচজন, রংপুরে দুইজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/বিএ