আন্তর্জাতিক

মিসরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা উপদেষ্টার গোপন সফর

ইসরায়েলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াল হুলাতা গোপনে মিসরের রাজধানী কায়রোতে সফর করেছেন। সেখানে তিনি মিসরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেল এবং দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। আল-আরাবি আল-জাদেদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

Advertisement

বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে মিসর সফর করেছেন হুলাতা। সেখানে তিনি আব্বাস কামেল এবং মিসরের গোয়েন্দা কর্মকর্তা আহমেদ আব্দুল খালেকের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।

এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি চুক্তির বিষয়ে সম্মত হওয়ার পর ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল তাদের সফর শেষ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা এবং অধিকৃত অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চাইছে কায়রো।

আগামী সপ্তাহে মিসরের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গাজা উপত্যকা এবং রামাল্লায় সফর করবেন বলে জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন তারা।

Advertisement

এর আগে জর্ডান সফর করেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইসাক হেরজগ। তিনি জানান, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে তাদের দেখা হয়েছে। তবে তার এই সাক্ষাতের ঘটনা অনানুষ্ঠানিক ছিল। আগে থেকে এ বিষয়ে দু'দেশ থেকে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের এই বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আমার সঙ্গে জর্ডানের রাজার দেখা হয়েছে এবং আমাদের দীর্ঘ আলাপ হয়েছে। আমি পুরো সন্ধ্যা তার প্রাসাদে সময় কাটিয়েছি। আমাদের মধ্যে চমৎকার একটি বৈঠক হয়েছে।

হেরজগের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, জর্ডান ইসরায়েলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি একজন মহৎ নেতা এবং ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ একজন শাসক।

ওই বিবৃতি অনুযায়ী, রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর প্রাসাদেই ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু’দেশের স্থিতিশীলতা, জ্বালানি, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘ সময় আলাপ হয়েছে। রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর আমন্ত্রণেই জর্ডানে সফর করেছেন ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই অংশ হিসেবে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা বিভিন্ন দেশে সফর করছেন এবং সেসব দেশের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করছেন।

টিটিএন/এমএস