করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬ হাজার ৬২৮ জনে। একই সময়ে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৭১০ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৭ হাজার ১৬৬ জন।
Advertisement
এদিন আগের দিনের তুলনায় করোনায় মৃত্যু কমেছে। রোববার একদিনে করোনায় ৭০ জন মৃত্যু হয়। একই সময়ে আক্রান্ত হন দুই হাজার ৪৩০ জন।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৭৯৭টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ৮৪২টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৭ হাজার ৫৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯০ লাখ ৯১ হাজার ৬১০টি।
Advertisement
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। দেশে করোনা শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শূন্য ৬৯ শতাংশ।
করোনায় মৃতদের মধ্যে নারী ৩৩ জন ও পুরুষ ৩৩ জন। এছাড়া তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৫৩ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ১২ জনের মৃত্যু হয়।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ৬৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রামে ১৩ জন, রাজশাহীতে ছয়জন, খুলনায় ১০ জন, বরিশালে তিনজন, সিলেটে বিভাগে ১০ জন, রংপুরে চারজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন মারা গেছেন।
করোনায় মৃতদের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব সাতজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৪ জন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ১০ জন ও আশির্ধ্ব পাঁচজন রয়েছেন।
Advertisement
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪ হাজার ১২৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক শূন্য ৯১ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এআরএ/জেআইএম