প্রেমিক বন্দী জেলে। কিন্তু তার অপরাধের সাম্রাজ্য পরিচালনা করছেন প্রেমিকা অভিনেত্রী। ২০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের প্রমাণ থাকায় গ্রেফতার হয়েছেন লীনা মারিয়া পল।
Advertisement
রোববার দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং তাকে গ্রেফতার করে। জেলবন্দি প্রেমিকের হয়েই এই চাঁদাবাজির কাজ করছিলেন লীনা অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
লীনা বলিউডের পরিচিত মুখ। ২০১৩ সালে ‘মাদ্রাজ কাফে’-তে দেখা গিয়েছিল তাকে। এরপর অবশ্য খুব বেশি নিয়মিত কাজ করতে দেখা যায়নি তাকে।
লীনার প্রেমিক এস চন্দ্রশেখর। গেল কয়েক মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন। তাকে দিল্লির রোহিণী জেলে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগ আছে। সব মিলিয়ে মোট ২১টি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বন্দি অবস্থাতেও তিনি এই সমস্ত কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে পুলিশ জানতে পারে।
Advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, এই কাজে তাকে জেলের দু’জন অফিসারও সাহায্য করছিলেন। পাশাপাশি প্রেমিকা, অভিনেত্রী লীনা এবং আরও দুই সহযোগী ছিলেন চন্দ্রশেখরের। লীনার সঙ্গে ওই দুই সহযোগী এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট জেল সুপারিটেন্ডেন্ট এবং ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্টও গ্রেফতার হয়েছেন।
অপরাধের কথা স্বীকারও করেছেন রোহিণী জেলের দায়িত্বে থাকা এই দু’জন।
গত ৭ অগস্ট ফর্টিস হেলথকেয়ারে প্রাক্তন প্রোমোটার শিবিন্দর সিংহের স্ত্রী পুলিশে অভিযোগে জানান, গত জুন মাসে আইন মন্ত্রকের সিনিয়ার অফিসার সেজে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এক ব্যক্তি। বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তার স্বামী শিবিন্দর সিংহের জামিন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার স্বামী আসলে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে জেলবন্দি ছিলেন তখন। কিন্তু আশ্বাস মতো কাজ না হলে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
পরে তদন্তে চন্দ্রশেখরের নাম উঠে এসেছিল। পুলিশ জানতে পেরেছিল, জেলবন্দি অবস্থায় চন্দ্রশেখরই আইন মন্ত্রণালয়ের অফিসার সেজে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং চন্দ্রশেখরের কথাতেই অভিযোগকারিণী অদিতির থেকে ২০০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন লীনা।
Advertisement
এলএ/এমএস