তথ্যপ্রযুক্তি

গাড়াতির বাসিন্দাদের নিয়ে গ্রামীণফোনের বিজয়োল্লাস

প্রথমবারের মতো পঞ্চগড় জেলার সাবেক ছিটমহল গাড়াতির বাসিন্দাদের নিয়ে বিজয় দিবস উদযাপনে বিজয়োৎসব ‘প্রথম বিজয়োল্লাস’ আয়োজন করেছে গ্রামীণফোন। ৪৪ বছরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো বিজয় দিবস উদযাপন করে সাবেক এ ছিটমহলের বাসিন্দারা।দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, চ্যানেল আই ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে একই সময় ঢাকার চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে এ বিজয় উৎসবের আয়োজন করে। গাড়াতির বাসিন্দাদের সঙ্গে ‘প্রথম বিজয়োল্লাস’-এ উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে ঢাকা ও গাড়াতির অনুষ্ঠান দুটির মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা হয়। সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা ও মুক্তিযোদ্ধারা প্রথমবারের মতো সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাইলেন এবং ঘরের ছাদে দেশের পতাকা ওড়ালেন। সুরের ধারার শিল্পী এবং গ্রামীণফোন-জাগো অনলাইন স্কুলের শিশুরাও সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে একসঙ্গে গড়াতির বাসিন্দাদের সঙ্গে দেশাত্মবোধক গানে গলা মেলান।এ অনুষ্ঠান নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি বলেন, প্রথমবারের মতো জাতি একসঙ্গে এ বিশেষ মুহূর্তটি উদযাপন করছে। এ বিশেষ মুহূর্তটি উদযাপন করতে আমাদের সময় লেগেছে ৪৪ বছর। আমি নিশ্চিত দেশের মানুষ সবসময় এ দিনটিকে মনে রাখবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের অংশীদার হতে পেরে গ্রামীণফোন গর্বিত।এর আগে, গত ২৫ নভেম্বর দেশের প্রথম মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে লালমনিরহাটের সাবেক ছিটমহল দহগ্রামকে থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসে গ্রামীণফোন।আর এবার সারা দেশ একই উৎসাহ ও উদ্দীপনায় প্রথমবারের মতো একসঙ্গে গলা মেলালো দেশের নতুন নাগরিকদের সঙ্গে।আরএম/বিএ

Advertisement