খুলনার বিস্ফোরক মামলায় হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হককে গ্রেফতার দেখিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
Advertisement
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. কেএম ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সকাল ১০টায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে মামুনুল হককে আদালতে আনা হয়।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মামুনুল হককে পুলিশি হেফাজতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খুলনা কারাগারে আনা হয়।
Advertisement
আদালতে দাখিলকৃত মামলার চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, গ্রেফতার হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবিতে সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়ে জামায়াত ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামীসহ ১২ দলের প্রায় ৩ হাজার মানুষ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর ডাকবাংলা ও ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিলো। ফুজি কালার ল্যাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হয় তারা। এসময় মিছিলের মধ্য থেকে পুলিশের ওপর ককটেল বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। বোমার আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সেখান থেকে ২৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানায় খুলনা মহানগর ইমাম পরিষদের কয়েকজন নেতা ও হেফাজত ইসলামীর নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে মামলা করেন সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর কবীর।
চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায়র আগের দিন ময়লাপোতা মসজিদ মোড়ে ওয়াজ করার সময় হাফেজ মামুনুল হকসহ অন্যান্যরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুরসহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুসারীদের নির্দেশ দেন।
২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মোক্তার হোসেন মোট ১০৭ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এর আগে ১৮ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে থেকে হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। পরে ১১ মে রাতে মামুনুল হককে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধ নারী ও শিশু নির্যাতন, পুলিশি কাজে বাধা, ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ ২৭টি মামলা রয়েছে।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/ এফআরএম/এএসএম