দেশজুড়ে

মায়ের মাথা ফাটানোর অভিযোগ ক্লোজ আপ ওয়ান তারকা সাজুর বিরুদ্ধে

কুড়িগ্রামে জমির ভাগ ও টাকা না পাওয়ায় মাকে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা শিল্পী সাজু আহমেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন সাজু আহমেদের মা রানীজান বেগম নিজেই। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বৃদ্ধ মাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্বজনরা।

Advertisement

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) উলিপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

২০০৮ সালে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের রিয়েলিটি শো ক্লোজআপ ওয়ান তারকা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ নির্বাচিত হন সাজু আহমেদ (৩৫)। তিনি উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের মৃত আজগার আলী ও মোছা. রানীজান বেগম দম্পতির ছেলে।

জানা যায়, ২০০৩ সালে মারা যান সাজুর বাবা। তার পর থেকে মা রানীজান বেগমই সাজু আহমেদের সব আবদার পূরণ করেছেন। ছেলের ভবিষ্যতের জন্য ঢেলে দিয়েছেন নিজের সর্বস্ব। কিন্তু আজ মায়ের মুখেই সন্তানের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি। বারবার ছেলের হাতে অপমান অপদস্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ রানীজান বেগমের।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে সাজু যখন ক্লোজ আপ ওয়ান তারকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন সেসময় তাকে বিজয়ী করতে ব্যাংকের টাকাসহ জমি-জমা বন্ধক রাখি। প্রায় ১৬ লাখ টাকা খরচ করি তার জন্য মেসেজের ব্যবস্থা করতে। পরে অনেক চেষ্টা করে আবার বন্ধক রাখা জমি উদ্ধার করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাজু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়াবে বলে আমার কাছ থেকে জমি চেয়ে আসছিলো। আমি জমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমার ওপর নির্যাতন চালায়। পরে আবার অন্য মানুষের সঙ্গে পরামর্শ করে এসে আমার কাছে জমি বিক্রি করে টাকা দিতে দাবি জানায়। আমি আবারও অস্বীকৃতি জানালে সে আঘাত করে আমার মাথা ফাঁটিয়ে দেয়।’

ছেলের বিচার দাবি করে রানীজান বেগম বলেন, ‘সাজু আমার কোলের ছেলে। আমি অনেক কষ্টে তাকে লালন করেছি। তাকে আমি অনেক ভালোবাসি। কিন্তু সে নির্যাতন করার সময় ভ্রূক্ষেপ করে না যে আমি তার মা হই। আমি ওই ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাই।’

সাজুর বড় বোন আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, ‘এর আগে সাজু আমাকেও কয়েকবার মারতে উদ্যত হয়েছিলো। আমার মা প্রতিবাদ করায় সে মাকেও আঘাত করে। এসময় অনেকে বাড়িতে উপস্থিত ছিল।’

Advertisement

জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রানীজান বেগমের মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। তিনি এখন কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ব্যাপারে শিল্পী সাজু আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, এ বিষয়ে তারা অভিযোগ পেয়েছেন। ভুক্তভোগী নারীর বড় মেয়ে বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. মাসুদ রানা/ এফআরএম/এএসএম