একটু বৃষ্টিতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে জমে থাকে পানি। সেই পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনে নির্মাণ করা হচ্ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এজন্য কাটা হয়েছে দুটি গাছ। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। মারা যায় ওই দুটি গাছে বাস করা শামুকখোল পাখির শতাধিক বাচ্চা। আহত হয়েছে আরও অনেক। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকেই ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ চলছিল রামেকের জরুরি বিভাগের সামনে। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুটি গাছ তাই রামেক কর্তৃপক্ষ সেই গাছ কাটার নির্দেশ দেন। যদিও কর্তৃপক্ষ জানেন রামেকের একেকটি গাছে অর্ধশতাধিক শামুকখোল পাখি বসবাস করে। তার পরও ড্রেন ব্যবস্থাপনার কাজের জন্য কাটা হয় ওই দুটি গাছ। এতে মারা পড়ে শতাধিক শামুকখোল পাখির বাচ্চা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দুটি গাছ কাটেন শ্রমিকরা। গাছ মাটিতে আছড়ে পড়লে গাছে থাকা শামুকখোল পাখির ছোট ছোট বাচ্চাগুলো মারা যায়। আবার অনেক পাখি আহত হয়। আহত পাখিগুলো রামেকের পাশে ফুটপাতে থাকা দোকানিরা নিয়ে যান।
শুধু আশপাশের মানুষই নন, সেখানে কাজ করা নির্মাণ শ্রমিকরা খাওয়ার উদ্দেশ্যে অন্তত ২০টি পাখি জবাই করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
Advertisement
এ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে পাখিপ্রেমী ও পরিবেশবাদীরা বলছেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে চাইলে গাছ না কেটেও করা যায়। গাছ কাটতেই হবে এমন কোনো কথা নয়। এটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। কারণ, শুধু রামেক কর্তৃপক্ষই নয় বরং পুরো রাজশাহীবাসী জানে রামেকের প্রতিটি গাছে অসংখ্য শামুকখোল পাখি বসবাস করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী বন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে রামেক থেকে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। আগামীকাল লোক পাঠাবো। বিস্তারিত জেনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগেও রামেক হাসপাতালে একটি গাছ কাটার কারণে বেশকিছু শামুকখোল পাখি মারা যায় এবং অনেক পাখি গুরুতর আহত হয়েছিল।
Advertisement
ফয়সাল আহমেদ/এসজে/এমকেএইচ