দেশজুড়ে

বিলুপ্ত ছিটমহলে নতুন বাংলাদেশিদের বিজয় উল্লাস

হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে উঠলেন পঞ্চগড়ের সদ্যবিলুপ্ত ৩৬ ছিটমহলের বাসিন্দারা। বুধবার বিকেল ৩টায় দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সঙ্গে জাতীয় সংগীত গাইলেন কয়েক হাজার মানুষ। সদর উপজেলার বিলুপ্ত গারাতি ছিটমহলের মফিজার রহমান কলেজ মাঠে তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান ও নুরুল ইসলাম সুজন। ৬৮ বছর পর চলতি বছরের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে বাংলাদেশি নাগরিকের মর্যাদা পায় এসব ছিটমহলের বাসিন্দা। বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর এবারই প্রথম তারা বাংলাদেশের মাটিতে মহাসমারোহে বিজয় উৎসব পালন করলেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন নারী ও শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষ। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ এসে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গান। এতে করে নতুন বাংলাদেশিদের জন্য সৃষ্টি হলো আরেক নতুন ইতিহাস। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে দুই মন্ত্রীসহ অন্যান্যরা পৃথক দুইটি হেলিকপ্টারে করে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান।শুরুতে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ সময় তিনি একটি দেশাত্মবোধক কবিতা আবৃত্তি করেন। পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গারাতি ছিটমহল এলাকায় গ্রামীণফোনের থ্রিজি নেটওয়ার্কের টাওয়ার উদ্বোধন করেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার এবং ৭১’র নরঘাতকদের বিচারের মাধ্যমে দেশ ও জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ হয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়ন এবং প্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে রেমিটেন্সের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পরিণত হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় বৃহৎ পোশাক রফতানিকারক দেশ। শান্তি মিশনেও আমরা আমাদের কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছি। দেশের এই উন্নয়নে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এখন থেকে বিলুপ্ত ছিটমহলের নাগরিকরাও সমান অংশীদার বলে বিবেচিত হবে।এআরএ/এসএইচএস/পিআর

Advertisement