লুটপাটের ঘটনা থেকে অন্যদিকে দৃষ্টি ঘোরাতেই অপ্রাসঙ্গিক বিষয় সরকার সামনে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Advertisement
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজ কেন জিয়ার লাশ নিয়ে কথা বলছে? কারণ তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। আজ বিষয় হচ্ছে টিকা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বলছেন, ১০ লাখ টিকা আসবে। কাল বলছেন আজ আসবে না, কাল আসবে। টিকা নিয়ে চলছে ধোঁকাবাজি। আসল বিষয়টি হলো কমিশন। যেখানে বেশি কমিশন পাওয়া যায়, সেদিকেই ঝুঁকছেন।’
তিনি বলেন, ‘চার ভাগ মানুষকেও এখনো টিকার আওতায় আনতে পারেনি। সরকার লকডাউন দিয়ে তা কার্যকর করতে পারে না। কারণ, মানুষের ঘরে খাবার নেই, দেয়নি প্রণোদনা। যেটা দিয়েছেন সেটা লুটের জন্য। হাজার কোটি টাকা বিলি করলেও তা পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এসব লুটপাটের ঘটনা থেকে অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাতেই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসছে।’
Advertisement
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন ছদ্মবেশে বাকশাল চলছে। সাংবাদিকরাও আজ সেন্সর করে নিউজ করছেন। অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতির দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে পরীমনির ইস্যু দিয়ে মিডিয়াকে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে। পরীমনিকে কেন বারবার রিমান্ড নেয়া হয় সে ব্যাপারে নিম্ন আদালতের বিরুদ্ধে রুল জারি করে উচ্চ আদালত। যখন আমাদের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিনা দোষে বিনা ওয়ারেন্টে আটক করে লাগাতার রিমান্ডে নেয়া হয়, তখন তার বিরুদ্ধে রুল জারি হয় না। অর্থাৎ কেউ স্বাধীন নয়। কারও কোনো স্বাধীনতা নেই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। করোনার থাবায় চাকরি হারাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। সরকারের এদিকে কোনো দৃষ্টি নেই। দেশ আজ মহাসংকটে। এ সংকট কোনো ব্যক্তির নয়, গোটা জাতির। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এ দেশ ক্ষয় হতে থাকবে।’
প্রয়াত কাজী জাফরের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘কাজী জাফর একটি ইতিহাস। কলেজ জীবনে তার বক্তব্য শুনে আমরা ঘরে থাকতে পারিনি। অধিকার আদায়ের আন্দোলনে কাজী জাফরের ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক মন্ত্রী ও জাপার একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
Advertisement
এএসএম শামীমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এনপিপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, নওয়াব আলী আব্বাস, অ্যাডভোকেট মুজিবর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ।
কেএইচ/এমএইচআর/এমকেএইচ