মো. আবুল হোসেন মিঞা
Advertisement
ভোক্তা অধিকার আইন দেশের সবচেয়ে জনবান্ধব ও কল্যাণকর একটি আইন, যা একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। এ আইনটি দেশের সব মানুষকে প্রতিনিয়ত স্পর্শ করে। ৬ এপ্রিল, ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণীত হয় এবং এই আইনের ১৮ ধরা মোতাবেক ৮ জুন, ২০০৯ সালে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী ২৪ নভেম্বর ২০০৯ মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে ২৯ সদস্যবিশিষ্ট শক্তিশালী ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ গঠিত হয়।
৯ ডিসেম্বর ২০০৯ পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই মূলত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু হয়। ৩ নভেম্বর ২০০৯ সালে আমাকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রথম মহাপরিচালক নিয়োগ করা হয় এবং ডিসেম্বর ২০০৯ সালে উপসচিব মো. সামসুজ্জামান খান ও মো. আবদুল বাতেন মিঞাকে নবসৃষ্ট অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
অফিস স্থাপন ও সাংগঠনিক কাঠামো নির্মাণসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার মাঝে প্রায় শূন্য জনবল নিয়ে আমার নেতৃত্বে রেকর্ড পরিমাণ কম সময়ের ব্যবধানে ৬ এপ্রিল ২০১০ তারিখে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে আইনটি প্রয়োগ তথা বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়।
Advertisement
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এবং অধিদপ্তরের কার্যক্রম বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আওতায় প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে শুরু থেকেই আমি উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমি ২০১১ সালে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনালের ১৯তম বিশ্ব ভোক্তা কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করি। এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব ভোক্তা সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম প্রথমবারের মতো তুলে ধরি। এ কংগ্রেসে ৭০টি দেশের সরকারি ও বেসরকারি ভোক্তা সংস্থার প্রায় ৬০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। কয়েকটি ‘সাইড ইভেন্টে’ আলোচনায় অংশগ্রহণ ছাড়াও আমি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার প্রদান করি।
পরে আমি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একবার একজন যুগ্মসচিব এবং অন্যবার একজন উপসচিবের সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের টিম যথাক্রমে ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন ভ্রমণ করি এবং ওই সব দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে মতবিনিময় করি এবং তাদের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করি। এসব দেশ ভ্রমণকালে আমি বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এবং নবসৃষ্ট অধিদফতরের কার্যক্রম তুলে ধরি।
ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে সিটি কর্পোরেশনের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনায় অংশগ্রহণ করি। ভারতের কনজ্যমারস অ্যাফেয়ার্স, ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র ‘আই এ এস’ কর্মকর্তা মনোজ রায়ের সাথে তার অফিসে ফলপ্রসূ আলোচনা করি এবং সরকার সে দেশের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে কি কি দায়িত্ব পালন করেন তা সম্যক অবহিত হই। দিল্লির কসজ্যুমার ডিসপুট রেডরিসেল কমিশন- এ দুটি আদালতে বিচার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করি। তাছাড়া কনজ্যুমার কো-অর্ডিনেশন কাউনসিল, কনজ্যুমার ভয়েস অব ইন্ডিয়াসহ বেশ কয়েকটি ভোক্তা সংগঠনের সাথে আলোচনায় অংশগ্রহণ করি। বর্ণিত দেশসমূহ ভ্রমণ করে সে সব দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করি এবং ভ্রমণ প্রতিবেদনসমূহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভায় উপস্থাপন করি।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনালের ২০তম কংগ্রেসে যোগদান করি। ক্যাবের সভাপতি এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সম্মানিত সদস্য ও সাবেক সচিব গোলাম রহমান ও ‘ভোক্তা’ নামক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক খলিলুর রহমান সজলও ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব কংগ্রেসে যোগদান করেন।
Advertisement
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে বিশ্ব ভোক্তা সম্প্রদায়ের সাথে অধিকতর সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনাল এর গভমেন্ট সাপোর্টর্টার মেম্বার হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এশিয়া প্যাসিফিক ও মিডিল ইস্ট অঞ্চলের অস্ট্রেলিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, মিশর, ফিজি, সামোয়া, পাপুয়া নিউগিনি দেশসমূহের সরকারি সংস্থা কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনাল এর গভর্মেন্ট সাপোর্টার মেম্বার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন গ্রহণপূর্বক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনাল-এর গভর্মেন্ট সাপোর্টার মেম্বার করার জন্য আবেদন করলে তা গৃহীত হয়। বাংলাদেশ কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনাল এর গভর্মেন্ট সাপোর্টার মেম্বার হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব বহন করে।
কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের ৩০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন-ডব্লিউএইচও, ডব্লিউটিও, এফএও, ইউএনডিপি, ইউ এন স ইউএনসিটিএডি-এর সাথে সম্পৃক্ত বিধায় এ সংস্থা হতে বাংলাদেশের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বিভিন্ন রকম সহায়তা পেতে পারে। বাংলাদেশে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনাল (সি আই) এর সার্বক্ষণিক সদস্য হিসাবে দিবসটি পালন করে আসছিলো।
ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ প্রবর্তন, আইনের আওতায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিদফতর এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে ২০১০ সালে ‘ক্যাব’এর প্রস্তাবে এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খান এমপি-এর সদয় সম্মতিতে ক্যাবের সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রথম বারের মত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ২০১০ সালে ১৫ মার্চ ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন শুরু করে।
দিবসটি পালনে বাজেট না থাকায় মাত্র ৬ দিন আগে বাণিজ্য সচিবের প্রত্যক্ষ সহায়তায় অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত খাত হতে তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। এ টাকা দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে দিবসের প্রতিপাদ্যের উপর পোস্টার ও লিফলেট তৈরি করা হয়। ২০১০ সালে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদ্যাপনে কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনালের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আওয়ার মানি, আওয়ার রাইট’ অর্থাৎ, ‘আমার অর্থ আমার অধিকার।’
সেমিনারটি আয়োজন করা হয় সিরডাপ মিলনায়তনে। ঐ দিন সকালে ব্যানার ও প্লাকার্ডসহ বাণিজ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে ঢাকাস্থ কারওয়ান বাজার পরিদর্শন করা হয়। বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে নিউ মার্কেট ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কাপ্তান বাজার পরিদর্শন করা হয়। তারপর হতে প্রতি বছর ‘ক্যাব’ এর সাথে যৌথ উদ্যোগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী দিবসটি যথযথ আয়োজনের মাধ্যামে উদ্যাপন করে আসছে। উল্লেখ্য, যে কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনাল (সি আই) লন্ডস্থ একটি বেসরকারি আন্তর্জাতিক ভোক্তা সংগঠন।
ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ ও অধিদফতরের সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম: জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৮৫ সালে ৮ টি অধিকারকে ভোক্তা অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়:(১) মৌলিক মানবিক অধিকারসমূহ;(২) জানার অধিকার;(৩) পছন্দের অধিকার;(৪) নিরাপদ খাদ্য ও সেবা পাওয়ার অধিকার;(৫) অভিযোগ দায়ের করার অধিকার;(৬) প্রতিকার পাওয়ার অধিকার;(৭) ভোক্তা অধিকার বিষয়ক শিক্ষা লাভের অধিকার;এবং(৮) ভোক্তাবান্ধব পরিবেশ পাওয়ার অধিকার।
উল্লেখ্য যে, মৌলিক মানবিক অধিকারসমূহ আমাদের সংবিধানে এবং জানার অধিকার তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এ বিধৃত আছে। আরো উল্লেখ্য যে, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণীত হওয়ায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ বিষয়টি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপর বর্তালে ও ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ এর কয়েকটি ধারায় খাদ্য সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে যা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করে আসছে।
ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ একটি সুসংহত এবং বিস্তৃত আইন। এ আইনে বেশ কিছু ত্রুটি- বিচ্যুতি ও অসংগতি রয়েছে যা নিরসনের লক্ষে এবং আইনটিকে যুগোপযোগী এবং অধিকতর কার্যকর করার লক্ষে ব্যাপক সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংশোধিত খসড়াটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন আছে। সব পক্রিয়া শেষে সংশোধিত খসড়াটি আইনে পরিণত হলে ভোক্তা অধিকার আইন- ২০০৯ একটি অধিকতর শক্তিশালী ও কার্যকর আইনে পরিণত হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যক্রম প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান ও গতিশীল হচ্ছে। অধিদফতরের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বিভাগ ও জেলা পর্যায় স্থাপিত হয়েছে এবং কমিটি পর্যায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি গঠিত হয়েছে। এভাবেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মপরিধি অল্প সময়ের মধ্যেই তৃণমূলে পৌঁছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে সকল কর্মকর্তা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব নিরলসভাবে প্রতিপালন করেছেন। তাদের বহুমুখী উদ্ভাবনী কার্যক্রম লক্ষণীয়। প্রতিদিনই বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে আইনটির বাস্তবায়ন দিক তুলে ধরা হচ্ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি করছে।
অধিদফতরের সামগ্রিক কার্যক্রমে জন আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ ভোক্তারা অভিযোগ দায়ের করতে উৎসাহিত হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে অভিযোগের পরিমাণ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযোগকারী পাচ্ছেন জরিমানকৃত অর্থের ২৫% ভাগ। জন আগ্রহ বৃদ্ধি এবং সম্পৃক্ত হওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রকৃত অথের্ইএকটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের রূপ নিচ্ছে।
ক্যাব ও কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনাল-এর সহযোগিতা প্রারম্ভে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও অধিদফতরের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সহায়তার হাত প্রসারিত করেন এশিয়া প্যাসিফিক ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের কনজ্যুমার্স ইন্টারন্যাশনালের প্রধান মিস ইন্দ্রানী থুরাইসিনঘাম ‘ক্যাব’ এর সাথে সম্পৃক্ত থাকায় মিস ইন্দ্রানী থুরাইসিনঘাম অনেকবার বাংলাদেশে এসেছেন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও পরিদর্শন করেছেন।
২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ভোক্তা অধিকার সেমিনারে মিস ইন্দ্রানী থুরাইসিনঘাম সম্মানীত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। তার প্রচেষ্টায়ই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কনজ্যুমার্স ইন্টান্যাশনালর-এর সদস্য পদ লাভ করে। শূন্য থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর প্রতিষ্ঠাতা এবং আইন বাস্তবায়নে আমার অন্যতম প্রধান সহযোদ্ধা ছিলেন ‘ক্যাব’ এর জনপ্রিয় সভাপতি মরহুম কাজী ফারুক।
‘ক্যাব’এর সভাপতি পদাধিকার বলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও আইন বাস্তবায়নে মরহুম কাজী ফারুক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায় বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য মিস ইন্দ্রানী থুরাইসিনঘাম-এর অবদান অনস্বীকার্য। আশা করি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর তাদের অবদানকে সম্মানের সাথে মূল্যায়ন করবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তাগণসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন করছে। ভোক্তারা সচেতন হচ্ছেন, সচেতন ও সতর্ক হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও।
দেশের আপামর ভোক্তা আইনটির সুফল পেতে শুরু করেছে যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ আইনের আওতায় ভোক্তাদের অধিকতর সুফল পেতে তাদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হতে হবে। ভোক্তাদের সোচ্চার হতে হবে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক (সাবেক অতিরিক্ত সচিব), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এইচআর/এএসএম