আফগানিস্তানের পশ্চিমের শহর হেরাতে চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেদের অধিকার রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নারীরা। ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর নারী শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন বহু নারী। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তালেবানের নতুন সরকার গঠিত হলে নারী অধিকার আবারও খর্ব হতে পারে। অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন তারা। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
তালেবান নেতারা গত মাসে ক্ষমতা দখলের পর বার বার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নারী ও শিশু অধিকার সংরক্ষণে, তবে তা শরিয়া আইন মোতাবেক। তারপরও আফগান নারীদের শঙ্কা আবারও সেই আগের মতো কঠোর নিয়ম চালু করতে পারে তালেবান।
আগস্টের শেষে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি চাকরির দায়িত্বে থাকা নারীরা যেনো বাড়িতে থাকেন।
আফগানিস্তানে নতুন সরকারের ঘোষণা শিগগিরই আসতে পারে বলে উল্লেখ করে এক সাক্ষাতকারে তালেবানের উপপ্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই বলেন, নতুন সরকারে নারীরা উচ্চ পর্যায়ে এখনই কাজ করার অনুমতি পাবেন না, তবে নিম্ন পর্যায়ে কাজ করার জন্য অনুমতি পেতে পারেন।
Advertisement
অনেক আফগান নাগরিক শঙ্কা প্রকাশ করেন তালেবানের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের শাসনের পুনরাবৃত্তি নিয়ে। ওই সময় ইসলামিক আইনের অজুহাতে প্রকাশ্যে শাস্তি ও নারী অধিকার ক্ষুন্ন করার বিস্তর অভিযোগ আছে তালেবানের বিরুদ্ধে।
এসএনআর/জিকেএস