জাতীয়

রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা ব্র্যাকের

করোনার প্রভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের জীবন-জীবিকা। তাদের অনেকেই কাজ হারিয়ে এখন বেকার। বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে এসেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। এমন ২৩ জনের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সাভারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ চেক দেওয়া হয়েছে। তাদের হাতে চেক তুলে দেন সাভার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির স্থানীয় এবং প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় শুরু থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে ছিল সরকার। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি ব্র্যাককে ধন্যবাদ জানান।

ব্র্যাক হিউম্যানিটারিয়ান প্রোগ্রামের আওতায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এ সহায়তা দেওয়া হয়। চলমান এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন ১১০ জন। তাদের মধ্য থেকে করোনার প্রভাবে যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এ রকম ৭৫ জনকে অর্থ সহায়তার আওতায় আনা হয়।

Advertisement

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জীবিকার চ্যালেঞ্জ, জীবনমান উন্নয়ন, বিদ্যালয়গামী মেধাবী সন্তানদের শিক্ষা ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের এ সহায়তার জন্য নির্বাচন করা হয়। কোভিড-১৯ এ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উল্লিখিত ২৩ জনসহ এরই মধ্যে মোট ৭০ জনকে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।

২০১৩ সালে রানা প্লাজাধসের পর ৩৩ জেলার ৭৮৫ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জীবিকা সহায়তা দিয়েছে ব্র্যাক হিউম্যানিটারিয়ান প্রোগ্রাম। ১৬০ জনকে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসাসেবা এবং যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের কৃত্রিম অঙ্গ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৭৩৩ জনকে দুর্ঘটনার মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে দেয়া হয় মনোসামাজিক কাউন্সেলিং সেবা।

২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১০০ জন মানুষ মারা যান এবং প্রায় দুই হাজারের বেশি আহত হন। ওই ঘটনার পর সরকারের পাশাপাশি আহত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্র্যাক। ব্র্যাকের কমিউনিকেশন্সের (এইচসিএমপি) ফজলুল ইসলামের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এমইউ/এমআরএম/জেআইএম

Advertisement