দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) শনাক্তের হার ১০ শতাংশে নেমেছে। তবে গতকালের (বুধবার) চেয়ে আজ শনাক্তের হার কিছুটা বেড়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) শনাক্তের হার ১০ শতাংশের সামান্য বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল ১০ দশমিক ১১ শতাংশ।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৭৮৯টি ল্যাবরেটরিতে ৩৩ হাজার ৫৯৬টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৩ হাজার ২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৪৩৬ জন।
এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ সাত হাজার ১১৬ জনে। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৭৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৪ জন ও নারী ৩৪ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৬ হাজার ৩৬২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৭ জন ও বাড়িতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে ভাইরাস শনাক্তের পর মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব আটজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ৩২ জন, সত্তোরোর্ধ্ব নয়জন, আশির্ধ্ব ছয়জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী দুইজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, করোনায় মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে, ৩০ জনের। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া রাজশাহীতে পাঁচজন, খুলনায় সাতজন ও সিলেটে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন করে মারা গেছেন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৯০১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৫ জন। সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক শূন্য ৪১ শতাংশ।
Advertisement
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
করোনা সংক্রমণ কমে আসায় ধীরে ধীরে জনজীবন আগের মতো সচল হচ্ছে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে এবং তা পরপর চার সপ্তাহ অব্যাহত থাকলে দেশ করোনামুক্ত বলা যায়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে টিকাদানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি (মুখে মাস্ক পরিধান, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় চলা ইত্যাদি) মেনে চলতে হবে বলে তারা মন্তব্য করেন।
এমইউ/এআরএ/জেআইএম