জাতীয়

করোনা কাড়লো আরও ৮৮ প্রাণ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৪ জন ও নারী ৩৪ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৬ হাজার ৩৬২ জনে।

Advertisement

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ৪৩৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ সাত হাজার ১১৬ জনে।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৭৯১টি ল্যাবরেটরিতে ৩৩ হাজার ৫৯৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৩ হাজার ২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৪টি।

Advertisement

একদিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৭৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৯০১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৫ জন। সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক শূন্য ৪১ শতাংশ।

মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৭ জন ও বাড়িতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে ভাইরাস শনাক্তের পর মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব আটজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ৩২ জন, সত্তোরোর্ধ্ব নয়জন, আশির্ধ্ব ছয়জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী দুইজন রয়েছেন।

Advertisement

বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, করোনায় মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে, ৩০ জনের। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া রাজশাহীতে পাঁচজন, খুলনায় সাতজন ও সিলেটে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন করে মারা গেছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

এমইউ/এআরএ/জেআইএম