জাগো জবস

৩ বছরেই সফল নাজিয়ার ‘আরময়ের’

রুচিশীলতা এবং নান্দনিকতাকে পুঁজি করে দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক শিল্পের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে ব্যাপক ভূমিকা রেখে এগিয়ে চলেছে ‘আরময়ের’। ২০১৭ সালে নাজিয়া হাসানের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ ঘটে ব্র্যান্ডটির। তবে খুব কম সময়ের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় প্রতিষ্ঠানটি! সালোয়ার-কামিজ এবং কুর্তার একটি ছোট ফেসবুক দোকান হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও এটি ২০২০ সাল থেকে একটি লিমিটেড কোম্পানি।

Advertisement

তাদের বুটিক সংগ্রহে ফ্যাশনেবল জিনিসপত্র এবং জুতাসহ নারীদের সব ঐতিহ্যবাহী পোশাক আছে। এমনকি তারা প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ থেকে ট্রেন্ডি পিস আমদানি করে। যা বাঙালির কাছে বিদেশি ঐতিহ্যবাহী পোশাক সহজলভ্য করতে সাহায্য করেছে।

তাদের কাছে পাকিস্তানি ব্র্যান্ডের লন, বুটিক এবং হাতের সুঁচিকর্মের পোশাকও আছে। আরময়ের সাধারণত নারীদের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি এবং বাচ্চাদের ড্রেস নিয়ে কাজ করে। রুচিশীলতা আর কারুকার্যের মুগ্ধতায় গ্রাহকদের চাহিদায় প্রতিষ্ঠানটি আজ এতদূর।

এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান নাজিয়া হাসান। ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন সায়মা হারা। তাদের লক্ষ্য ছিল, বর্তমান শতাব্দীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রুচিশীল, মার্জিত এবং ট্রেন্ডি পোশাক দেশের বর্তমান প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এর মধ্যেই অনেকটা সফলতা অর্জন করেছেন তারা।

Advertisement

তাদের প্রথম শোরুম গুলশান-২ এর পিঙ্ক সিটি শপিং মলে এবং দ্বিতীয়টি উত্তরার জমজম টাওয়ারে অবস্থিত। বর্তমানে সেখানে নারীদের মানানসই জুতা, চলতি ফ্যাশনের আনুষঙ্গিক, জুয়েলারিসহ পোশাকের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব জিনিস পাওয়া যাচ্ছে।

নাজিয়া হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আরময়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আছেন ফ্যাশন ব্লগার ও লাইভ প্রেজেন্টার নদী খন্দকার, ফাহিমা জেমি, রিম, আঁচলসহ অনেকেই! মানসম্মত পোশাকটি আপনার হাতে পৌঁছে দিতে সর্বক্ষণ পাশে আছে প্রতিষ্ঠানটি।’

তিনি বলেন, ‘নিজ ব্যবসার উন্নতির পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পোশাক সবার জন্য সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে বাঙালি সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করছে আমাদের প্রতিষ্ঠান। আমাদের স্বকীয়তা এবং কঠোর পরিশ্রম ফেসবুক পেজে ৫ লাখেরও বেশি ফলোয়ার এনে দিয়েছে।’

তাই বলা যায়, তাদের উদ্ভাবন এবং মূল ধারার ফ্যাশনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া সবার কাছে নির্ভরযোগ্যতা বাড়িয়েছে। দেশের পোশাক ঐতিহ্যকে বিশ্বমানে নিয়ে যেতে কাজ করে চলেছেন নাজিয়া হাসান।

Advertisement

এসইউ/জেআইএম