নাজমুল হাসান পাপনের চিকিৎসকের পরামর্শ, তিনি যেন এত চাপ না নেন। তাই বিসিবি সভাপতি আগামী নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবছেন। তবে অক্টোবরে বিসিবি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না, এমন কথা বলেননি।
Advertisement
আজ (বুধবার) সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বলেছেন, অনেক কাজ, প্রচুর চাপ। চিকিৎসকের নির্দেশ, চাপ কমানোর। তাই নতুন কিছু ভাবতে হচ্ছে তার।
শেষে গিয়ে আবার বলেছেন, বোর্ডের সবাই চাইলে হয়তো থাকার কথা ভেবে দেখবেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেননি।
সামনে আইসিসির বিশ্বকাপ। এছাড়া ব্যস্ত সূচি। কাজের চাপ যেহেতু বেড়ে যাচ্ছে, তাই দায়িত্ব ভাগ করে দিতে চান, জানিয়েছেন পাপন।
Advertisement
তার বোর্ডে থাকা নিয়ে আসলে দু‘রকম কথা বলেছেন পাপন। এক পর্যায়ে এমনও বলেছেন, ‘পরিচালক হতে পারি। সভাপতি নাও হতে পারি। এবার নির্বাচনটা উন্মুক্ত রাখতে চাইছি।’
এক পর্যায়ে বলেছেন, পরিবর্তন আসতে পারে। বিসিবির নির্বাচন আগের মতো হবে না। পাপনের ভাষায়, ‘যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন হবে। আমরা চাইছি অক্টোবরে। বিশ্বকাপ সামনে, তার আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চাই।’
আবার শেষ দিকে গিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘সবাই চাইলে থাকতেও পারি। আসলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি।’
২০১২ সালে আ হ ম মুস্তফা কামাল আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিসিবি সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর ২০১৩ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। চলতি সেপ্টেম্বরে তার নেতৃত্বাধীন কমিটির দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে। গত ২৬ আগস্ট এজিএম শেষে বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, এবারের নির্বাচনে চমক আসবে।
Advertisement
আজ বোর্ড সভা শেষেও তার মুখে একই কথা, ‘অনেক কিছুই আসবে, যা আগে কখনও হয়নি বা নতুন কিছু ঘটবে। নির্বাচনে ভিন্নতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি এবং আসবে। তবে এটা আজ ঘোষণা করছি না। নির্বাচন কমিশনার যখন কাজ শুরু করবেন, তখনই জানতে পারবেন। পরিবর্তন দেখতে পারবেন।’
এআরবি/এমএমআর/এমএস