তথ্যপ্রযুক্তি

এক পরিচয়পত্রে সর্বোচ্চ ২০ সিম

এক ব্যক্তি একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল ফোনের সিম কিনতে পারবেন। তবে কর্পোরেট গ্রাহকদের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান। টেলিযোগাযোগ বিভাগের কার্যক্রমের অগ্রগতি বাস্তবায়নের জন্যে মন্ত্রণালয় যখন যা করা প্রয়োজন তার সবই করা হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।তারানা হালিম বলেন, “বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম/রিম নিবন্ধনের কাজ। প্রত্যেক মোবাইল ফোন গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরের কাস্টমার সেন্টারে নিজের এনআইডি পরীক্ষার পর বায়োমেট্রিক দিতে হবে। এপ্রিলের পর যাদের রেজিস্ট্রেশন সঠিক পাওয়া যাবে না তাদের সিমগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্য দিলে পুরনায় তার নম্বরটি চালু করা যাবে।”তিনি আরো বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই আমরা মোবাইল সেটের আইএমইআই নম্বর রেজিস্ট্রেশন শুরু করবো। প্রাথমিকভাবে যারা নতুন সিম কিনবেন তাদের সিমের সঙ্গে সেটেরও নিবন্ধন করে দেয়া হবে। তবে এটি বৃহৎ পরিসরে করা হবে। প্রত্যেক গ্রাহককেই তার মোবাইল ফোন সেটটির আইএমইআই নিবন্ধন করে নিতে হবে। কী প্রক্রিয়ায় সেটা করা হবে, তা পরবর্তীতে জানানো হবে। মোট কথা নিবন্ধন ছাড়া কোনো ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছি।”বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহ্জাহান মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, একজন গ্রাহকের একটি এনআইডির বিপরীতে ২০টির বেশি সিম রাখা যাবে না, এই নির্দেশনা শিগগিরই আমরা জারি করবো। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু করার পর জানা যাবে- কার কাছে কতটি সিম রয়েছে।এর আগে, বিটিআরসি থেকে টেলিযোগযোগ মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল সেখানে একটি এনআইডির বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিম রাখার সীমা বেধে দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। ওই প্রস্তাবে একজন গ্রাহক তার এনআইডি দেখিয়ে এক অপারেটরের পাঁচটির বেশি সিমের মালিক হতে পারবেন না বলেও উল্লেখ ছিল।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসির অক্টোবরের তথ্য অনুযায়ী, মানুষের হাতে থাকা মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ। আর ইন্টারনেট গ্রাহক সোয়া ৫ কোটি।আরএম/বিএ/আরএস/এমএস

Advertisement