ক্যাম্পাস

১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে বৃহত্তর কর্মসূচি

আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দেওয়া হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

Advertisement

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকারের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অনিক রায়।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে আমরা শাহবাগে বৃহত্তর কর্মসূচি পালন করবো। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক শিক্ষা দিবস। এদিন শিক্ষার অধিকার আদায় করে আমরা শহীদদের স্মরণ করবো। প্রয়োজনে শিক্ষার অধিকার আদায়ের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবো।’

ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘তারা বলছেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছি না ছাত্রদের কথা ভেবেই, তারা করোনা আক্রান্ত হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, ওবায়দুল কাদের কয়দিন আগে বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হবে। উনি ছাত্রলীগকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। আমরা দেখেছি, ছাত্রলীগের প্রস্তুতি হচ্ছে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব। তাহলে আপনারা যে বললেন ছাত্রদের কথা ভেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে,কথাটা মিথ্যা আপনারা স্বীকার করে নিলেন।’

Advertisement

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায় বলেন, আজ আওয়ামী লীগ ও দেশের মধ্যে একটা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম হয়েছে। আমরা স্বৈরশাসক আইয়ুব খান, এরশাদের শাসন দেখিনি কিন্তু ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাকে দেখছি। এই ব্যবস্থা থেকে যদি আমাদের গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করতে হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও নাগরিক অধিকারের কথা যদি বলতে হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের অ্যান্টি ফ্যাসিবাদের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে হবে ও সেটা নিয়ে মাঠে নামতে হবে।

ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, আমরা আমাদের ব্যানারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে দাবি জানাচ্ছি, এই সেপ্টেম্বরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েই সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনতে হবে। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসোলেশন সেন্টার চালু করতে হবে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালগুলোকে করোনার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ থেকে ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

এছাড়াও সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক তাওফিকা প্রিয়া, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শুভাশিস চাকমাসহ প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

আল-সাদী ভূঁইয়া/এআরএ/এএসএম