আপদকালীন ফসল আউশ ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নওগাঁর চাষীরা। ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পেরে খুশি তারা।
Advertisement
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে (২০২১-২২ অর্থবছর) জেলায় ৭০ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান রোপণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বিপরীতে ৫৭ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
এরমধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় তিন হাজার ৭৫০, রানীনগরে এক হাজার ২০৫, আত্রাইয়ে এক হাজার ৭৮০, বদলগাছীতে এক হাজার ৪০০, মহাদেবপুরে ১৩ হাজার ১২০, পত্মীতলায় ছয় হাজার ৫০০, ধামইরহাটে দুই হাজার ২৮০, সাপাহারে ৭৯৫, পোরশায় ৯৫০, মান্দায় ১৬ হাজার ৫০০ এবং নিয়ামতপুরে ৯ হাজার ৬৩০ হেক্টর রয়েছে। এর মধ্যে ব্রিধান-২১, ২৮, ৪৮, ৫৫, ৫৬, ৬৫, ৮২, ৮৩, ৮৫, বিনা-১৯ ও ২১ এবং পারিজা জাতের ধান রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৪৮ জাতের ধান। ইতিমধ্যে জেলার পাঁচ হাজার ৮০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।
জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এ বছরেও বাড়তি আয়ের স্বপ্ন নিয়ে আপদকালীন আউশ চাষের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন চাষীরা। তবে রোপণের শুরুতে কম বৃষ্টিপাতের কারণে গত বছরের তুলনায় ফলন কিছুটা কম হয়েছে। গত বছর ধান কাটার পর স্থানীয় বাজারে মানভেদে প্রতিমণ আউশ ৯৫০-১১০০ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছিল। এ বছর প্রতিমণ ৭৫০-৮২০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে।
Advertisement
মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর গ্রামের মুন্টু মিয়া বলেন, তিন বিঘা জমিতে আউশ লাগিয়েছি।জমি চাষাবাদ, রোপণ, শ্রমিক, সার ও ওষুধ এবং ধান ঘরে উঠা পর্যন্ত প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।বিঘা প্রতি ফলন পেয়েছেন ১৬-১৮ মণ। কিছুদিন আগেও প্রতিমণ ধান বিক্রি হয়েছে ৮২০-৮৫০ টাকা। কিন্তু এখন বৃষ্টি জন্য প্রতিমণ ধান ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একই গ্রামের মমতাজ উদ্দিন বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে ব্রি-৪৮ জাতের আউশ ধান করেছিলেন। মোট ধান পেয়েছেন ৭৮ মণ। এ বছর শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। বৃষ্টি সময়মতো না হাওয়া সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতে হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন থাকায় ধানের সূর্যের আলো ঠিকমতো পড়েনি।এরপর ফলন ভালো হয়েছে। আপদকালিন এ ফসল সুষ্ঠুভাবে ঘরে উঠাতে পেরে আমরা খুশি।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামশুল ওয়াদুদ বলেন, এবছর আউশ রোপনের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম ছিল। ফলে কৃষক সময়মতো জমিতে ধান রোপণ করতে না পারায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
এএইচ
Advertisement