জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশন বসছে আগামীকাল (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হবে। এবারের অধিবেশন চলবে মাত্র চার কার্যদিবস। করোনার কারণে এবারও মানা হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি।
Advertisement
করোনার কারণে এবারও শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের বৈঠক বসবে। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় বসবে অধিবেশন। এছাড়াও ২ ও ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় সংসদ অধিবেশন বসবে। করোনার কারণে তাড়াতাড়ি অধিবেশন শেষ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এবারও সংসদে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না সাংবাদিকরা। সংসদের একাধিক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংসদের যুগ্মসচিব মো. তারিক মাহমুদ জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অধিবেশনের সময় সাংবাদিকদের পাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। জনস্বার্থে অধিবেশনের সব কার্যক্রম সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হবে।
সংসদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা পরীক্ষা করে সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অধিবেশনে যেতে হয়। অধিবেশনের কার্যদিবসের মধ্যে বিরতি রাখলে কেউ সংক্রমিত হতে পারেন। এজন্য শুক্রবারও অধিবেশন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
Advertisement
আসন্ন অধিবেশনটি হবে চলতি বছরের চতুর্থ অধিবেশন। গত ৩ জুলাই শেষ হয়েছিল সংসদের ১৩তম অধিবেশন, যেটি ছিল বাজেট অধিবেশন। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত কয়েকটি অধিবেশন বসেছে। জাতীয় সংসদের এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এবারের অধিবেশনের শুরুতে পাঁচজন সভাপতিমণ্ডলী সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে। তারা স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদের বৈঠক পরিচালনা করবেন। এরপর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হবে। শোকপ্রস্তাব গ্রহণ শেষে মরহুমের আত্মার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করবেন। এরপর মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে। পরে সংসদের রীতি অনুযায়ী অধিবেশন মুলতবি করা হবে।
এইচএস/ইউএইচ/এআরএ/জিকেএস
Advertisement