আফগানিস্তানে এখন একমাত্র আধিপত্য তালেবানের। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সেনারা ইতোমধ্যেই আফগানিস্তান ছেড়েছে। সোমবার রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের শেষ ফ্লাইট কাবুল ছেড়েছে। তালেবানের কাছে পরাজিত হয়ে তল্পিতল্পা গুটাতে বাধ্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনারা কাবুল ছাড়ার পরেই হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান।
Advertisement
এদিকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে তালেবানের এক নেতা বলেন, মানুষ তালেবানের জয়ে খুশি। তার দাবি, তালেবান দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। তালেবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা হানাস হাক্কানি বলেন, এটা খুব স্বাভাবিক যে, কোনো দেশে যখন শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে তখন আপনাকে প্রথমেই কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি দাবি করেন, এর আগে বেশ কয়েকজন তালেবান যোদ্ধা সেজে লোকজনের বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে। এদের বেশিরভাগই এখন কারাগারে আছে। তার মতে, ছোটখাট কিছু সমস্যা থাকবেই। কারণ এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বাসা বদল করার সময়ও আমরা অনেক কিছু হারিয়ে ফেলি। আর এটা তো এক শাসন ব্যবস্থা থেকে অন্য শাসনে পরিবর্তন। তিনি বলেন, আপনারা এরইমধ্যে দেখতে পেয়েছেন যে, আমরা শান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। লোকজন এখন খুশি।
বিদেশি সেনাদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে আফগানিস্তান। দেশের মাটি থেকে বিদায় নিয়েছে বিভিন্ন দেশের সৈন্যরা। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র তাদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে কাবুল ছেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শেষ ফ্লাইট কাবুল ছাড়ার পর আফগানিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে তালেবান।
Advertisement
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান এখন স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র। ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার ঘটনাকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাজধানী কাবুলে অবস্থিত হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেন তালেবান যোদ্ধারা। এরপরই জয় উদযাপন করতে দেখা গেছে তাদের। আকাশে গুলি ছুড়ে আফগান সদস্যরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। এর আগে তালেবান দেশের নিয়ন্ত্রণ নিলেও যুক্তরাষ্ট্র কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement