আইন-আদালত

সন্তোষ বা অসন্তোষ প্রকাশের অবকাশ নেই: জুলহাসের ভাই

বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু লোকনাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারের কর্মী মাহবুব তনয় হত্যা মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জুলহাস মান্নানের ভাই বলেছেন, ‘ঘাতকরা আমার অজ্ঞাত। আমার সন্তোষ বা অসন্তোষ প্রকাশের অবকাশ নেই।’

Advertisement

এর আগে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী জুলহাসের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমনের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ভাইকে অজ্ঞাত পরিচয় দূষ্কৃতিকারীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বাদী হিসেবে আমি তদন্ত করে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেফতার ও উপযুক্ত বিচার চেয়ে মামলা করি। দীর্ঘদিন পর আজ রায় হয়েছে। ঘাতকরা আমার অজ্ঞাত। আমি কাউকে সুনির্দিষ্ট করে অভিযুক্ত করতে পারিনি। রায়ে আমার সন্তোষ বা অসন্তোষ প্রকাশের অবকাশ নেই।’

এর আগে রায়ের রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, বাংলাদেশের জন নিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণকে স্বাধীন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে অভিযুক্ত আসামিদের অভিন্ন অভিপ্রায় ছিল জুলহাস মান্নান ও তনয়কে হত্যা করা। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত আসামিদের কারো ভূমিকা ছোট বা বড় করে দেখার সুযোগ নেই।

Advertisement

রায়ে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়াসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশও দেয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়া, আকরাম হোসেন, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ। এদের মধ্যে মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন।

মামলার অন্য দুই পলাতক আসামি সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে ঢুকে জুলহাস মান্নান ও মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

Advertisement

ওই ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় জুলহাসের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন বাদী হয়ে হত্যা মামলা এবং সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা করেন।

এরপর ২০১৯ সালের ১২ মে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম।

জেএ/এমএইচআর/এমএস