খেলাধুলা

মাশরাফির কারণেই নতুন রূপে কাপালি!

ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির সঙ্গেই এলেন অলক কাপালি। ২৮ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলে কুমিল্লাকে জেতানোর পুরস্কার পেয়েছেন ম্যাচ সেরা হয়ে। সুতরাং, অলক কাপালির সংবাদ সম্মেলনে আসাটা খুব বিস্ময়কর নয়। শুরুতে অলককে দিয়ে শুরু হয়েছিল। তিনি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিলেন বেশ মাপা মাপা কথা বলে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটাও কথা বললেন না।অলকের পর কথা বললেন মাশরাফি। এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করা হলো, ম্যাচ শেষে আপনি যে খ্যাপাটে দৌড় দিলেন এর আসলে কারণটা কী? মাশরাফি প্রথমে মজা করে বললেন. ‘আমি তো আসলে এমনিতেই খ্যাপাটে।’ পরক্ষণেই বললেন , আমি আসলে এভাবে দৌড় দিয়েছি অলকের জন্য। তার কৃতিত্ব উদযাপন করার জন্য। সে যেভাবে ম্যাচটা জিতিয়েছে তাকে বাহবা দিতেই তো আমি এভাবে দৌড় দিয়েছি।’অধিনায়কের মুখে প্রসংশা শুনে পাশে বসা অলকের চোখ ছলছল করছিল। আসলে যে ক্রিকেটারটিকে কেউ প্লেয়ার বাই চয়েসেই রাখেনি। কেউ তাকে দলেই নেবে না, বিস্মৃতির অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়েছিল, সেই অলককে তো দ্বিতীয় জন্মটা দিয়েছেন মাশরাফিই। তিনিই ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিককে বলে, অনুরোধ করে কুমিল্লা দলে নিয়েছিলেন কাপালিকে।দীর্ঘদিনের সাবেক সতীর্থ অলককে হয়তো পুরো টুর্নামেন্টে সেভাবে ব্যবহার করতে পারেননি। কিন্তু মাশরাফির যেন তুরুপের সেরা তাসই ছিলেন এই অলরাউন্ডার। যেই তাসটি শেষ চাল হিসেবে খেলে দিলেন মাশরাফি এবং সৌভাগ্যক্রমে সেই খেলায় জিতেও আসলেন শ্বাসরুদ্ধকরভাবে।সেই অলক যখন পাশে বসে অধিনায়কের মুখ থেকে এমন প্রশংসা শোনেন তখন তো তার চোখ ছলছল করার কথাই। মাশরাফিও জানতে অভিজ্ঞতার মূল্য কতো।এ কারণেই আহমেদ শেহজাদ আউট হয়ে যাওয়ার পর অলক কাপালিকেই মাঠে নামিয়ে দিলেন তিনি। তখনও ব্যাট করার বাকি ছিল আসহার জাইদি, বিগ শট খেলতে পারা শুভাগত হোম এমনকি মাশরাফি নিজেও। তবুও অলকের ওপর আস্থা রাখলেন কুমিল্লার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন তিনি।মাশরাফির কারণেই যে তিনি নিজেকে ফিরে পেয়েছেন, সেটা জানালেন অলক কাপালি। তিনি বলেন, ‘মাশরাফিই আমাকে সব সময় সান্ত্বনা দিতো, উৎসাহ দিতো। বলতো আমি চেষ্টা করলে সব পারবো।  তার কথাতেই আশ্বস্ত হয়েছি। তবে আমি সুযোগ কম পেয়েছি নিজেকে মেলে ধরার। সেটুকু পেয়েছি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’আইএইচএস/বিএ

Advertisement