দেশজুড়ে

রাতে মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি

মাইকিং করে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তাও আবার রাতে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা দরে। দাম কম থাকায় কিনছেনও অনেকে।

Advertisement

সোমবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেখা যায়, বরগুনা পৌর শহরের মাছ বাজারের সামনের রাস্তার পাশে মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। কম দামে ইলিশ পেয়ে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের লোকজন সবাই কিনছেন।

ইলিশ বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, কুয়াকাটা মহিপুর থেকে এই মাছ এনেছি। মাছ বেশি থাকার কারণে দাম আগের তুলনায় অনেক কম। ক্রেতারা খুশিতে মাছ নিচ্ছে। প্রায় চার মণ মাছ এনেছি মহিপুর থেকে। আমি নিজের জন্যও সাত কেজি মাছ রেখেছি। সবগুলো ইলিশ বিক্রি হওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবেই মাইকিং করে বিক্রি করব।

মোশাররফ ফরাজী নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে এক কেজি ছোট ইলিশ কিনতে গেলেও কমপক্ষে ৪০০-৫০০ টাকা লাগে। সেখানে ৬৫০ টাকায় ৫০০ গ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশ পাচ্ছি। এটাই তো ভালো। তবে ইলিশগুলো বেশ শক্ত, মনে হয় অনেকদিন ধরে কোল্ড স্টোরেজে থাকার কারণে এমনটা হয়েছে।

Advertisement

অপর আরেক ক্রেতা নির্মাণ শ্রমিক রশিদ মিয়া বলেন, ইলিশ হচ্ছে বড়লোকের খাবার। আমার ছেলেমেয়েরা ইলিশ মাছ খেতে চায়। দাম নাগালের বাইরে থাকায় এতদিন কিনতে পারিনি। আজ শুনলাম মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তাই এই সুযোগে ইলিশ কিনতে চলে আসলাম।

তবে একটি মহল বলছে, বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ৬৫০ টাকা কেজি দরে ইলিশ মাছ বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না। কেন এত কম দামে এই ইলিশ বিক্রি করছে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা উচিৎ। কোনো অসাধু চক্র অসৎ উদ্দেশ্যেও পচা অস্বাস্থ্যকর ইলিশ কম দামে বাজারে আনতে পারে। এ বিষয়ে প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের যাচাই করে দেখা দরকার।

বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পরিচালক বলছেন, গত চার বছর ধরে মাত্রাতিরিক্ত হারে ইলিশের পরিমাণ কমে এসেছে। সাগরে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বেহালদশা মাছ ব্যবসায়ীদের।

জেডএইচ/

Advertisement