দেশজুড়ে

ধুনটে যমুনার কূল উপচে ৯ গ্রাম প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। এতে বাঁধের ভেতরে (পূর্বদিকে) ইউনিয়নের পুকুরিয়া, ভূতবাড়ি, কৈয়াগাড়ি, মাধবডাঙ্গা, রঘুনাথপুর, ভান্ডারবাড়ি, দক্ষিণ শহড়াবাড়ি, বানিয়াজান ও শিমুলবাড়ি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

Advertisement

এসব গ্রামের বাড়ির আনাচে-কানাচে থৈ থৈ করছে পানি। আবার কিছু কিছু বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পূর্বপাশ দিয়ে বহমান যমুনা নদী। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায় বইছে। ফলে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জানান, যমুনার পানি কূল উপচে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে এসে ঠেকেছে। ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের কমপক্ষে ৫০০ বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। তবে এখনও মানুষের জীবনযাপন স্বাভাবিক। বানভাসিদের জন্য ৯ মেট্রিক টন চাল মজুত রয়েছে। প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এসব চাল বিতরণ করা হবে।

Advertisement

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও পরিমাণ খুবই কম। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রতিমুহূর্তে যমুনা নদীর বাঁধ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

বিএ/এএসএম