রাগ শয়তানের কাজ। রাগ থেকে বেঁচে থাকতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছোট্ট একটি আমল বা বাক্য পড়ার নসিহত পেশ করেছেন। যা মুহূর্তের মধ্যে মানুষের রাগকে কমিয়ে দেয়। কী সেই ছোট্ট আমল?
Advertisement
হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সামনে দুই ব্যক্তি একজন অপরজনকে গালি দিতে লাগলো। তাদের একজন এত অধিক রাগান্বিত হলো যে, মনে হলো- রাগের প্রচণ্ডতায় তার নাক ফেটে যাবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-আমি এমন একটি বাক্য জানি, যা বললে রাগের প্রতিক্রিয়া চলে যাবে। তখন মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসুল ! তা কি?তিনি বললেন, ‘সে বলবে-اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِউচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাশ শায়ত্বানির রাঝিম।’অর্থ : ‘হে আল্লাহ ! আমি আপনার কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।’তখন মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে তা পড়ার তাগিদ দিতে থাকলেন। কিন্তু সে তা পড়তে সম্মত হলো না আর ঝগড়া করতে থাকলো এবং তার রাগ আরও বেড়ে গেলো।
মুসনাদে আবি ইয়ালার মধ্যে উল্লেখ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে দুটি লোকের ঝগড়া বেধে যায়। রাগে একজনের নাসারন্দ্র ফুলে ওঠে। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘যদি লোকটি এই কালিমা পড়ে তবে তার রাগ এখনই ঠাণ্ডা এবং স্তিমিত হয়ে যাবে।‘ (তাফসিরে ইবনে কাসির)
মনে রাখা জরুরিরাগমুক্ত জীবন-যাপনে মানুষ দুনিয়া ও পরকালের সব কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারে। আর তা হয় মানুষের জন্য সহজ। সুতরাং মানুষের উচিত রাগ পরিহার করা। অতিরিক্ত রাগে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী বেশি বেশি ছোট্ট এ আমলটি করা।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শয়তানের কুমন্ত্রণায় রাগ করা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম