প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ৭২৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৬১ জনে।
Advertisement
একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ১০৯ জনে।
৯৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন ও নারী ৪৯ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৭৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৭ জন ও বাড়িতে একজনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
সোমবার (৩০ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৭৮৯টি ল্যাবরেটরিতে ৩১ হাজার ৩৮৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩০ হাজার ৮৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৯ লাখ ২৪৮টি।
নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শূন্য ৮২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ছয় হাজার ১৮৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ২১ হাজার ৮৮৩ জন। সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক শূন্য ৯৭ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৯৪ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৩ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ২৯ জন, সত্তরোর্ধ্ব ১৭ জন, আশি-ঊর্ধ্ব সাতজন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী দুইজন মারা যান।
Advertisement
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৪৩ জন, চট্টগ্রামে ২৭ জন, রাজশাহীতে ছয়জন, খুলনায় পাঁচজন, বরিশালে একজন, সিলেটে সাতজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিএ