ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন বাড়িতে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিকাংশ শিক্ষার্থী। তাই করোনার টিকা নিতে নিজ নিজ এলাকায় নিবন্ধন করেছেন অনেকে। কেউ প্রথম ডোজ নিয়েছেন আবার কেউ এখনও পাননি এসএমএস।
Advertisement
এদিকে, লকডাউন উঠে যাওয়ায় ১৮ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সশরীরে নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা। এতে প্রথম ডোজ কিংবা টিকা না নিয়েই ক্যাম্পাসে ফিরছেন শিক্ষার্থীরা। দূর-দূরান্ত থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা এসব শিক্ষার্থীরা টিকা নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার বিকল্প নেই বলছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাসেল। গ্রামে অবস্থানকালে নিকটস্থ টিকা কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ায় দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ না করেই তাকে ফিরতে হচ্ছে ক্যাম্পাসে। চট্টগ্রাম থেকে সুদূর কুড়িগ্রামে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নেয়াটাও কষ্টসাধ্য তার জন্য। ফলে তিনি পড়েছেন সিদ্ধান্তহীনতায়।
Advertisement
আরেক শিক্ষার্থী মেহেরাব হাসান। অবস্থান করছেন গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। বেশ কিছুদিন আগে নিকটস্থ কেন্দ্রে টিকার জন্য নিবন্ধন করলেও পাননি এসএমএস। এখন ফিরতে হবে ক্যাম্পাসে। ফলে দোটানায় পড়েছেন তিনিও।
এরকম আরও অনেক শিক্ষার্থীই পড়েছেন একই সমস্যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটস্থ কোনো কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকাগ্রহণের পরিসংখ্যান জানতে আমরা একটা গুগল ফর্ম তৈরি করেছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এতে তথ্য দিয়েছেন। সব শিক্ষার্থীর তথ্য পেলে আমরা জানতে পারবো কতজন শিক্ষার্থী এমন আছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আগে তথ্যগুলো হাতে পেতে হবে।
রোকনুজ্জামান/এসজে/এএসএম
Advertisement