ঘণ্টা, মিনিট ও সেকেন্ডের হিসেবে বিজয় দিবসের ক্ষণ শুরু হতে তখনও কয়েক ঘণ্টা সময় বাকি থাকলেও রাজধানীজুড়ে বিজয় উৎসব শুরু হয়ে গেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে রাতের ঢাকা।কোথাও বাজছে বিজয় দিবসের গান, কোথাও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দরাজ গলার সেই উদ্দীপণা জাগানিয়া ভাষণ আবার কোথাও বা আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে স্মৃতিসৌধ, গর্বের লাল সবুজ পতাকা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি।রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে হকাররা ছোটবড় বিভিন্ন আকৃতির পতাকা, রিস্টব্যান্ড ও হেডব্যান্ড বিক্রি করছেন। দেশের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসায় মানুষ সে সব পণ্য কিনে নিচ্ছেন।জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক আজ রাতে সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন, বিজয় দিবসকে বরণ করে নিতে সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ফ্লাড লাইটের ব্যবস্থা করে চলছে ফুটবল, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতা। কেউবা ঘটা করে ভুরিভোজনের আয়োজন করেছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট, জাতীয় প্রেস ক্লাব, মতিঝিল, দিলকুশা, বায়তুল মোকাররম, সচিবালয়, গুলিস্তান, বিজয়নগর, নয়া পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন বহুতল ভবনজুড়ে সুসজ্জিত ও বাহারি আলোকসজ্জার বর্ণিল আয়োজন।আলোকসজ্জার ঝলকানিতে রাতের ঢাকা অনেকটা দিনের মতো মনে হয়েছে। চারদিকে নানাবর্ণের আলোকসজ্জার ঝলকানির অপরূপ সৌন্দর্য রাস্তায় যাতায়াতকারী ছোটবড় সকল বয়সের মানুষের চোখ জুড়িয়ে যায়।রাত তখন ৮টা। শাহজাহানপুর এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী হুমায়ুন কবীর স্ত্রী ছেলেমেয়েকে নিয়ে রাতের ঢাকা ঘুরতে বেরিয়ে মতিঝিল এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়েন। যানজট পেরিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এসে ভবনজুড়ে আলোকসজ্জার আয়োজন দেখে যানজটে পড়ার দুঃখ ভুলে যান।আলোকসজ্জার মাধ্যমে লাল সবুজের জাতীয় পতাকায় আঙ্গুল উঁচিয়ে জাতির পিতার ভাষণ দেয়ার ভঙ্গি, কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে সে দৃশ্য মুছে জাতীয় পতাকার মাঝে স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি, পরমুহূর্তেই জাতীয় পতাকার পাশে অস্ত্র উঁচিয়ে দণ্ডায়মান মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি দেখে গোটা পরিবার আনন্দে আপ্লুত হন।এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নানা ইস্যুতে মানুষের মতপার্থক্যে থাকলেও বিজয়ের আনন্দে সকলেই তাদের মতোই উদ্ভাসিত হন বলে তিনি বিশ্বাস করেন বলে মন্তব্য করেন।এমইউ/বিএ
Advertisement