আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। নবজাতকের বাবার পক্ষ থেকে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়পূর্বক বালা-মুসিবত থেকে হেফাজতের নিয়তে সন্তানের আকিকা দেওয়া হয়। হাদিসে পাকে জন্মের ৭ম দিনে আকিকা দেওয়ার কথা বলেছেন বিশ্বনবি। কিন্তু এ দিন গণনা শুরু হবে কীভাবে? কখন থেকে গুনতে হবে দিন?
Advertisement
সন্তানের আকিকার দিন গুনতে হবে চাঁদের হিসাবে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আকিকার দিন গণনা শুরু করতে অনেকেই এ ভুলটি করে থাকেন। এটি একটি অসতর্কতা। আকিকার ব্যাপারে হাদিসে এসেছে-
হজরত সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-
كُلُّ غُلاَمٍ رَهِينَةٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ
Advertisement
‘প্রত্যেক শিশু তার আকিকার সঙ্গে বন্ধক থাকে। সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে আকিকা করতে হয়।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)
ইসলামি শরিয়তের যেসব মাসআলা দিন-তারিখ, মাস-বছরের সঙ্গে সম্পৃক্ত; সেগুলো চাঁদের হিসাবে গণনা করতে হয়। সুতরাং শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৭ম দিনে আকিকা করতে হলে চাঁদের হিসাব অনুযায়ী করতে হবে। আর চাঁদের হিসাবে দিন-তারিখ সূর্যাস্তের পর থেকেই শুরু হয়।
সুতরাং কোনো সন্তান যদি সোমবার সূর্যাস্তের পর জন্ম নেয় তবে তার অর্থ হলো সে মঙ্গলবারে জন্ম নিল। সে ক্ষেত্রে ৭ম দিন গণনা শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে; সোমবার থেকে নয়। আর চাঁদের এ হিসাব অনুযায়ী (আকিকার জন্য নির্ধারিত) সপ্তম দিন হবে পরের সোমবার। যদি কেউ সোমবারকে প্রথম দিন ধরে ৭ম দিন গণণা করে থাকে তবে দিনটি হবে পরের রোববার। যা চাঁদের হিসাবে ভুল।
মনে রাখতে হবে
Advertisement
সন্তান যদি সূর্যাস্তের আগে (সোমবার) জন্ম নেয় তবে জন্মের দিন (সোমবার) থেকে গণনা শুরু হবে। সূর্যাস্তের পরে জন্ম নিলেই পরের দিন থেকেই হিসাব করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দিন-তারিখ, মাস-বছরের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধর্মীয় ইবাদত যথাযথভাবে পালন করার এবং সুন্নাতের অনুসরণে আমল করার তাওফিক দান করুন। হিজরি তারিখের হিসাব রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস