লাইফস্টাইল

চর্মরোগ সোরিয়াসিস সারাবে ৫ উপাদান

সোরিয়াসিস হলো এক ধরনের চর্মরোগ। খুবই মারাত্মক এবং যন্ত্রণাদায়ক ত্বকের ব্যাধি এটি। এর ফলে ত্বক লালচে হয়ে ছোপ ছোপ দেখা দেয়। আক্রান্ত স্থানে এক ধরনের স্তর পড়ে ও প্রচণ্ড চুলকানি হয়।

Advertisement

শরীরের বিভিন্ন স্থান যেমন- হাঁটু, কনুই, মাথার ত্বকে সোরিয়াসিস বেশি হয়ে থাকে। একবার হলে সোরিয়াসিস সারিয়ে তোলা বেশ কষ্টকর। দীর্ঘমেয়াদি এই রোগটি একেবারে সারিয়ে তোলা যায় না।

তবে এই রোগের লক্ষণ থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসা করা যায়। ব্যক্তিভেদে সোরিয়াসিসের লক্ষণেও পরিবর্তন দেখা দেয়। তবে এর কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো-

>> ত্বকে লাল ছোপ ও আলাদা একটি মোটা স্তর পড়ে যায়।

Advertisement

>> ছোট ছোট ছোপ।

>> শুষ্ক ও ফাটা চামড়া।

>> আক্রান্ত স্থানে চুলকানি ও রক্তও পড়তে পারে।

>> চুলকানি, জ্বালাভাব ও ব্যথা হতে পারে।

Advertisement

>> ফোলা ও শক্ত জয়েন্ট।

যদিও এই রোগ পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যায় না, তবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিশেষ করে সোরিয়াসিসের ফলে হওয়া চুলকানি, ব্যথা ইত্যাদি কমাতে সহায্য করে ভেষজ কয়েকটি উপাদান।

প্রাকৃতিক উপায়ে সোরিয়াসিসের চিকিৎসা করার একটি ভালো বিকল্প হল আয়ুর্বেদিক ওষুধ। আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে, বাত ও কফের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে এই রোগটি হয়ে থাকে।

এছাড়াও শরীরে টক্সিন, স্ট্রেসসহ নির্দিষ্ট কিছু খাবার যেমন দই, মাছ এবং নোনতা খাদ্যবস্তু ইত্যাদি অধিক পরিমাণে খেলেও এই রোগ দেখা দিতে পারে।

ত্বকের বিভিন্ন রোগ প্রাকৃতিক উপায়ে সারিয়ে তোলাই সবচেয়ে নিরাপদ। সোরিয়াসিসের ক্ষেত্রেও এর লক্ষণ ও প্রভাব কমানোর জন্য কিছু আয়ুর্বেদিক ভেষজের সাহায্য নিতে পারেন-

>> বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রমাণিত যে, হলুদ থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে খাবারের সঙ্গে হলুদ খেতে পারেন। আবার হলুদের সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন।

>> অলিভ অয়েল সরাসরি সোরিয়াসিস আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এ ছাড়াও গোসলের পানিতে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি ত্বকের শুষ্ক ও জ্বালাভাব থেকে স্বস্তি দেবে।

>> অ্যান্ডিরা অ্যারারোবা গাছের সাহায্যে একটি বোটানিকেল পাউডার তৈরি করা হয়। এই পাউডার ভিনেগার বা লেবুর রসের সঙ্গে পেস্ট তৈরি করে সোরিয়াসিসে লাগালে উপকার মিলবে।

>> লাল মরিচে ক্যাপসাইসিন নামক উপাদান থাকে। রযা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কাজে লাগে। ক্যাপসাইসিনযুক্ত ক্রিম ত্বকে ব্যবহারে ব্যথার জন্য দায়ী স্নায়ু প্রশমিত হয়। এছাড়াও সোরিয়াসিসের কারণে যে প্রদাহ, স্কেলিং ও লালচে ভাব দেখা দেয় তা কম করতেও সাহায্য করে। এটি ব্যবহারে ত্বক জ্বালা করতে পারে।

>> ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার অনেক উপকারী এক ভেষজ। সোরিয়াসিস আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা ব্যবহারের মাধ্যমেও চুলকানি ও স্কেলিং কম হয়।

সূত্র: ওয়েব এমডি

জেএমএস/জিকেএস