অর্থনীতি

অনলাইনে মুদিপণ্যের কেনাকাটায় আগ্রহ বেড়েছে

রাজধানী ঢাকায় হাতে গোনা কয়েকটি অভিজাত এলাকা ছাড়া সব জায়গায়ই হাতের নাগালে মুদিপণ্যের দোকান। মফস্বল বা জেলা শহরে তো আরও সহজলভ্য। কিন্তু সেই মুদিপণ্য কিনতেই মানুষ এখন অনলাইনে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

Advertisement

তারা চাল, ডাল, লবণ, চিনি, তেল, সেমাই কিনতে অনলাইনে অর্ডার করছেন, যা ৮-১০ বছর আগে হয়তো কেউ ভাবেনইনি। তবে অনলাইনে কেনাকাটায় মানুষকে একধাপ এগিয়ে দিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সময় সৌখিনপণ্য কিনতে যারা অনলাইনে ঢু মারতেন, তারা এখন মুদিপণ্যও অনলাইনে কিনছেন। অনলাইন কেনাকাটায় মুদিপণ্যের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মাহমুদ সোহান করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই অনলাইনে সব পণ্য কেনাকাটা করছেন। অথচ মিরপুরে যে বাসায় তিনি বসবাস করেন, তার আশপাশেই অসংখ্য মুদি দোকান।

Advertisement

মাহমুদ সোহান জাগো নিউজকে বলেন, করোনার আগে অনলাইনে টি-শার্ট ও ঘড়ি কিনেছি। মাঝে মধ্যে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডারও করেছি। তবে অনলাইনে গ্রোসারি প্রোডাক্ট কিনিনি। লকডাউনের মধ্যে একটি ই-কমার্সে তেল কিনে কিছু টাকা মূল্যছাড় পেয়েছিলাম। সেখান থেকেই কেনাকাটা শুরু।

তিনি বলেন, লকডাউনে ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ ছিল না। আবার বাসায় বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ থাকায় করোনা ঝুঁকি ছিল। এ কারণে হোম ডেলিভারিতে মুদি বা অন্য পণ্য কিনতাম।

মুদিপণ্যের ই-কমার্স ‘চালডালডটকম’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জিয়া আশরাফ জাগো নিউজকে বলেন, করোনার আগে আমাদের অর্ডার ছিল তিন হাজারের কিছু বেশি। এখন সেটা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা শুরুর পর অর্ডার সামলাতে প্রথমে বেগ পেতে হয়েছে। এখন আমরা প্রস্তুত, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে আমরা তিন হাজারের বেশি অর্ডার সার্ভ করছি। যশোরেও কার্যক্রম শুরু করেছি।

Advertisement

‘অথবডটকম’-এর হেড অব বিজনেস আদিল খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনায় আমাদের অর্ডার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, লকডাউনের মধ্যেও গ্রাহকের কাছে তাদের পণ্য পৌঁছে দিতে। লকডাউনের পরেও অর্ডার খুব একটা কমেনি।

তিনি বলেন, ‘লকডাউনে মুদি ও ক্লিনিং পণ্যের চাহিদা বেশি ছিল। এছাড়া ছোট ফার্নিচারের চাহিদাও বেড়েছে।’

এসএম/এএএইচ/এএ/জেআইএম