আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের পাশে ‘আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে’ লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমানবাহিনী। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে বিমানবন্দরের উত্তর-পশ্চিম দিকে এ হামলা চালানো হয়। খবর আল-জাজিরার।
Advertisement
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে তালেবানের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আত্মঘাতী একজন হামলাকারী গাড়িতে করে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময় মার্কিন বিমানবাহিনী আত্মঘাতী হামলকারীর গাড়ি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় এক শিশু নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়েও একই তথ্য জানিয়েছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে আত্মঘাতী হামলার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরের দিকে গাড়ি নিয়ে আসা একাধিক সদস্যের দলটি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট খোরাসানের (আইএস-কে) সদস্য।
Updates:A house near to Kabul airport hit by a rocket. pic.twitter.com/t3Ue3AXD0s
Advertisement
ঘটনার পরপরই দেশটির ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক শাফি কারিমি নিজের টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানবন্দরের উত্তর-পশ্চিম পাশের এলাকার একটি রাস্তা থেকে ব্যাপক ধোয়া উড়ছে। তার পাশে একটি বাড়িও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে আফগানদের ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে।
এদিকে, আত্মঘাতী হামলার শঙ্কার কথা উল্লেখ করে পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, তারা নিষিদ্ধ জঙ্গীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরও হামলার জোরালো শঙ্কা রয়েছে। আগামী ২৪ থেকৈ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক হামলার চেষ্টা করা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কমান্ডারদের বরাত দিয়ে বাইডেন জানান, রোববারই (২৯ আগস্ট) এ হামলা হতে পারে। সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য হুমকি থাকায় মার্কিন নাগরিকদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
Advertisement
নিরাপত্তা হুমকির কারণে ওই এলাকায় তাদের ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। এছাড়াও যেসব মার্কিন নাগরিক বিমানবন্দরের প্রবেশপথের কাছাকাছি অবস্থান করছেন, তাদের দ্রুত ওই এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়।
এসএনআর/এএএইচ/জেআইএম