করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত রোগীর হার কমছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশে। গত দুইদিনের তুলনায় এ হার কিছুটা বাড়লেও জুলাইয়ের তুলনায় অনেক কমেছে। গত মাসে শনাক্তের হার ৩২ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এর আগের দিন শনিবার শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ও তার আগের দিন ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
Advertisement
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো দেশে করোনার সংক্রমণের হার ৫ শতাংশে নামলে এবং তা পরপর চার সপ্তাহ অব্যাহত থাকলে করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলা যায়। সে হিসেবে এখনো করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত নয় দেশ। তবে গত কয়েকদিন দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
রোববার (২৯ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ৭৮৯টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ১৭৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৭ হাজার ৯২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯৩টি।
Advertisement
এসময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯৪৮ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৩৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শূন্য ৮৪ শতাংশ।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ১৫ জনে। মৃত ৮৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪১ ও নারী ৪৮ জন। তাদের মধ্যে বাসায় মারা গেছেন দুইজন। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের ৫০ জন ষাটোর্ধ্ব, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের পাঁচজন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন মারা গেছেন।
Advertisement
এদিকে, একদিনে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৪৬৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৬৯৭ জন।
এমইউ/এআরএ/এমকেএইচ