রাজনীতি

‘কফিনে ডেডবডি থাক না থাক বিএনপি পলিটিক্যালি ডেড’

কফিনে জিয়াউর রহমানের ডেডবডি (মরদেহ) থাক বা না থাক বিএনপি পলিটিক্যালি ডেডবডিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

Advertisement

রোববার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু পরিষদের বারডেম শাখা আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্ত কমিশন দরকার। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত দরকার; তাহলেই জানা যাবে কফিনে কী আছে। জিয়ার লাশ নিয়ে টানাটানি হচ্ছে। কফিনে জিয়ার লাশ সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর তথ্যভিত্তিক বক্তব্যকে মীর্জা ফখরুল হাস্যকর বলছেন, তার চিকিৎসা করানো দরকার। কফিনে ডেডবডি থাক বা না থাক বিএনপি পলিটিক্যালি ডেডবডিতে পরিণত হয়ে গেছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সেদিনের সেই ঘটনায় অনেক মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে। সেই সময়ে যারা বেঁচেছিলেন তারা পরবর্তীতে অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। সেগুলো এখন বড় প্রশ্ন। কাজেই সেটারও একটা রহস্য উদঘাটন করা দরকার।

Advertisement

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন যেন না হয় সেজন্য সরকারের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দ্বন্দ্ব তৈরি করার জন্য মতলববাজরা মাঠে নেমেছে। তাদের চিহ্নিত করে রাখতে হবে। তারা আমাদের সঙ্গেই আছে। আমাদের সঙ্গে থেকেই তারা ছুরিকাঘাত করতে চায়।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ বারডেম শাখার সভাপতি অধ্যাপক মীর নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস এ মালেক (ভার্চুয়ালি যুক্ত), বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, বিএসএমএমইউয়ের ভিসি অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক রশিদ-ই-মাহবুব, বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক মুর্তাজা কে আই কাইয়ুম চৌধুরী এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ বারডেম শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বক্তব্য দেন।

আরএমএম/এমআরআর/এমকেএইচ

Advertisement