বরগুনার বর্তমান মেয়র মো. শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ সভাপতি। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর মেয়রের দায়িত্বপালনকালীন কাড়ি কাড়ি অবৈধ টাকার মালিক হয়ে সেই টাকা দিয়ে বহিরাগত ক্যাডার ভাড়া করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন। মঙ্গলবার বিকেলে বরগুনা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন ও তার ভাড়াটে কর্মী সমর্থকরা সোমবার সন্ধ্যা থেকে দফায় দফায় তার তিনটি অফিস ভাঙচুর করেছেন। ভাঙচুর করেছেন নৌকা প্রতীকসহ শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবিও। এসময় তার তিনজন কর্মী গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বলেন, মো. শাহাদাত হোসেন মেয়র থাকাকালীন সময়ে অবৈধ টাকার পাহাড় বানিয়ে সেই টাকা দিয়ে এখন বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র শাহাদাত হোসেনের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের কাছে অবৈধ অস্ত্রও রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, যেকোনো সময় অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচনকে বানচাল করার নীল নকশাও করে যাচ্ছেন মো. শাহাদাত হোসেন। অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ আরও বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। সমান সক্রিয় ছিলেন তিনি সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও। কখনো কোনো পদের জন্য তিনি লোভাতুর ছিলেন না। দীর্ঘদিন তিনি শুধুমাত্র আইন পেশার মাধ্যমে তার সংসার জীবন পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, দল তাকে মূল্যায়ন করেছে। তাই নির্বাচিত হতে পারলে তিনি দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে তার সর্বোচ্চ শ্রম ও মেধা দিয়ে বরগুনা পৌরসভা তথা বাংলাদেশের উন্নয়নে সরাসরি কাজ করে যাবেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মো. শাহাদাত হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যার পর তার একটি পথসভায় হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ অর্ধশত কর্মী ও সমর্থককে আহত করেছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তার মেয়ে মিতুল ও জামাতা আরিফ খানসহ একাধিক নারী ও শিশু গুরুতর আহত হন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। বর্তমানেও তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারির দ্বায়িত্ব পালন করছেন। গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকেই মনোনীত হয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। এবারে তাকে ষড়যন্ত্র করে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুরু থেকেই তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ সৃষ্টি করে আসছে জেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ। মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এমজেড/আরআইপি
Advertisement