পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেলো মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।
Advertisement
রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন।
তিনি বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে তীব্র স্রোতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির ৭০ ভাগেরও বেশি অংশ নদীতে চলে যায়। বাকি অংশ আজ সকালে বিলীন হয়ে যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, চরাঞ্চলের আজিমনগর, লেছড়াগঞ্জ ও সুতালড়ী এই তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জন্য জন্য ২০১৪ সালে ৮১ লাখ টাকা খরচে তৈরি করা হয় এই আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। গত বছর এটি নদী থেকে দেড়শ গজ দূরে থাকা অবস্থায় লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।
Advertisement
তিনি বলেন, ভাঙনকবল থেকে রক্ষা করতে এবারও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছেন বলে জানান। কিন্তু ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগই নেয়নি।
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পদ্মায় বিলীন হয়েছে একই উপজেলার সুতালড়ী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া চলতি বছর শতাধিক বাড়ি-ঘর, বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে অসংখ্য স্থাপনা।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ভাঙনরোধে কিছুই করা সম্ভব নয়। বিগত সময়ে কিছু কিছু এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। কিন্তু আমরা সফল হইনি। চলতি মাসেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে চলে গেছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিদ্যালয়টিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারিনি। এ কারণে আমরা এখন আর নদীতীরবর্তী চরাঞ্চলে কাজ করছি না। কেন-না ৬০ লাখ টাকা খরচ করেও ৫০ লাখ টাকার স্থাপনা রক্ষা করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, ভবিষ্যতে যাতে নদীতীরবর্তী ভাঙনকবলিত এলাকায় পাকা ভবন না করে। যেন স্থানান্তরযোগ্য স্থাপনা তৈরি করা হয়। যাতে ভাঙনের আগেই তা সরিয়ে নেওয়া যায়।
Advertisement
বি.এম খোরশেদ/এসজে/জিকেএস