বগুড়ার গাবতলীতে দাফনের ১১ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য ফাহিমা আক্তার (২৭) নামে এক নারীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার জানপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়। পরে ময়নাতদেন্তর জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এসময় সহকারী কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজন, পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসপি) রাজিউর রহমান, গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম ও দক্ষিণপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ফাহিমা বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সজনাতাউর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের মেয়ে। ফাহিমার স্বামী সাইদুল ইসলাম গাবতলী উপজেলার জানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফাহিমা ও সাইদুলের সংসারে পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। গত ১৬ আগস্ট হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ফাহিমা। ওইদিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। পরদিন ১৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তবে ফাহিমার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে ১৮ আগস্ট মামলা করেন ভাই রিমন। মামলায় ফাহিমার স্বামী সাইদুল ইসলামসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
ফাহিমার চাচা আব্দুল হাই বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ফাহিমার সঙ্গে তার স্বামীর পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদেন্তর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
এফআরএম/জিকেএস
Advertisement