আন্তর্জাতিক

করোনায় মৃত্যু ৪৫ লাখ ছাড়াল

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে ৮ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু ৪৫ লাখ ছাড়িয়েছে।

Advertisement

এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখের বেশি। ফলে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ কোটি ৬৭ লাখ।

আজ (রোববার) সকাল ৯টায় পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫ লাখ ৭ হাজার ৮৪০ জনে এবং করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৬৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৮ জনে।

Advertisement

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনও বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ৯৬ লাখ ১৭ হাজার ৪১৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৫৪ হাজার ৩৮১ জন।

সংক্রমণের ওই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৩৭ হাজার ৮৬০ জন।

সংক্রমণের ওই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে শনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি ৭ লাখ ২৮ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার ৫২ জন।

সংক্রমণের তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন, ইরান, ইতালি।

Advertisement

সংক্রমণের তালিকায় আবারও ২৬ নম্বরে ফিরেছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৯ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৫ হাজার ৯২৬ জন। আর করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৪ লাখ ৯ হাজার ২৩১ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে।

তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।

এমএইচআর/এমএস