আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের

আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান খরা ৭০ লাখের বেশি মানুষের জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে। রোমভিত্তিক জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি বিষয়ক সংস্থা (এফএও) দেশটিতে মানবিক সহায়তার জন্য আবেদন জানিয়েছে। সাম্প্রতিক সংঘাত, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির সঙ্গে কোভিড মহামারি যুক্ত হওয়া এবং ভয়াবহ খরার কারণে পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাতের কারণে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে।

Advertisement

এরইমধ্যে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর দেশ ছাড়ার হিড়িক শুরু হয়েছে আফগানদের মধ্যে। হাজার হাজার আফগান নাগরিক বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে রোমভিত্তিক জাতিসংঘের অপর একটি সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছিল, দেশটির এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ অর্থাৎ প্রতি তিনজন আফগান নাগরিকের মধ্যে একজনের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।

সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছিল, তারা আফগানিস্তানের সহায়তার পরিমান চারগুণ করার পরিকল্পনা করছে এবং মাঠ পর্যায়ে সহায়তার সরবরাহ ও নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করবে।

Advertisement

তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার পর থেকেই দেশটির ভবিষ্যত নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা সামনে আসছে। তবে সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিয়ে তালেবান জানিয়েছে, তারা দেশের উন্নয়নে কাজ করবে এবং মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ঘটাবে।

এরইমধ্যেই আফগানিস্তানে সব দলের সম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তালেবান।

তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বারাদার এখন রাজধানী কাবুলে অবস্থান করছেন। তবে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব কান্দাহার থেকে ফিরেছেন নতুন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনায় বসতে। নতুন সরকারে তাজিক ও উজবেক গোষ্ঠীরও কাউকে নতুন মুখ হিসেবে দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান প্রদেশ শাখার ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাবুল বিমানবন্দরের আবে ফটকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করে বলে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও তাদের আফগান মিত্রদের ‘লক্ষ্যবস্তু’ বানিয়ে তারা আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে।

টিটিএন/জিকেএস