দেশজুড়ে

ব্রিজ ভেঙে নদীতে, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

সুখ সইলো না টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের ২০ হাজার গ্রামবাসীর। মাত্র তিন বছরে ভেঙে পড়লো দীর্ঘদিন দাবির প্রেক্ষিতে পাওয়া বৈরাণ নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটি।

Advertisement

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ভেঙেপড়া ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

এর আগে গত সোমবার ব্রিজটির নিচের গার্ডার ও পাটাতনে ফাটল ধরে দেবে যায়।

স্থানীয়রা জানান, ওই ব্রিজ দিয়ে চলচাল করতেন পাইস্কা ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। নানা অনিয়মের মধ্যেই তিন বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। তবে ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা অনিয়মের প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি।

Advertisement

এছাড়াও ব্রিজ নির্মাণের পরপরই ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়। যার কারণে গত সোমবার ব্রিজটি মাঝখানে দেবে যায়। ফলে নিচের গার্ডার ও পাটাতনে ফাটল ধরে। নির্মাণের কিছুদিন পর থেকেই রেলিং ভাঙতে শুরু করে।

স্থানীয় বাসিন্দা মিলন মিয়া, সাইফুল ইসলাম, তোতা মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। তিন বছরের ব্যবধানে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল মজিদ বলেন, বৈরাণ নদীর দুই পাড়ের বেশ কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণ ও যান ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।

পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফ বজলু বলেন, ব্রিজটি হঠাৎ ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে জনসাধারণ চরম সমস্যায় পড়েছেন। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কি না সেটা ভাবছি আমরা।

Advertisement

ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন সাগর বলেন, ব্রিজটি পুরাতন হয়ে গিয়েছিল। গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে এডিবির সাড়ে চারলাখ টাকায় ফুট ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিল। এছাড়াও ব্রিজটির পাশ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভেঙে পড়েছে।

এ বিষয়ে ধনবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সামিউল হক বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আরিফ উর রহমান টগর/আরএইচ/এএসএম