পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। পাশাপাশি পাকিস্তানকে ফেরত দেয়া ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীরও বিচার দাবি করেন তিনি।মঙ্গলবার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘সংবাদপত্রে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এই দাবি জানান।অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে যে ৩০ লাখ মানুষ মারা গেছেন, দুই থেকে চার লাখ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং প্রায় এক কোটি মানুষকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে তা পৃথিবীর অনেক দেশই বিশ্বাস করতে চায় না। ওই সময়ে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের অনুসারীরা এখনো সক্রিয়। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস তোমাদের সামনে তুলে ধরে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। সাবধান, তাদের ফাঁদে পা দিবে না। তোমরা তোমাদের সময় এবং শক্তি ব্যয় করবে তোমাদের জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। তোমরা যদি এই প্রদর্শনীর একদিক দিয়ে প্রবেশ করে অন্য দিক দিয়ে বের হও তাহলে তোমাদের মধ্যে একটি অন্য রকম অনুভূতির সৃষ্টি হবে এবং ওই সময়ের কবে কি হয়েছে তা জানতে পারবে।এখন থেকে আমাদের একটা আন্দোলন করতে হবে সেটা হবে। প্রথমত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবো না আমরা। দ্বিতীয় দাবি হবে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। পাকিস্তান এখন অপরাধ স্বীকার করে না। পাকিস্তান এখনো বলে যাচ্ছে যে একাত্তরে এখানে কোনো কিছু করেনি তারা। এটা এক ধরনের নির্বুদ্ধিতা। ওরা মিথ্যাবাদী। শাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ ইকবালের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দের আহ্বায়ক অধ্যাপক শামসুল আলম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গণি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন প্রমুখ। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ‘সংবাদপত্রে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে আরও পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তচিন্তা চর্চায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দের আহ্বায়ক অধ্যাপক আকতারুল ইসলাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সাজেদুল করিম, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, গণিত বিভাগের অধ্যাপক গোলাম আলী হায়দার, প্রথম ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা পারভিন প্রমুখ। আব্দুল্লাহ আল মনসুর/এমজেড/আরআইপি
Advertisement