আন্তর্জাতিক

কাবুলে হামলাকারী কারা এ আইএস-কে?

ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে ভয়াবহ বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১১০ জন। আহত আরও দেড় শতাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে।

Advertisement

কিন্তু কারা আসলে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস-কে? তাদের হামলার উদ্দেশ্য বা কি ছিল?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আফগানিস্তানের কাবুলে হামলা চালানো আইএস-কে সংগঠনটির পূর্ণ নাম ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান। জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর আঞ্চলিক সহযোগী শাখা হিসেবে কাজ করছে তারা। বর্তমান আফগানিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ে প্রাচীন আমলে যে অঞ্চল সেটিই খোরাসান নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে আইএস-কে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে।

কয়েক বছর ধরে সহিংস ঘটনার পেছনে এই গোষ্ঠীটি দায়ী বলে অভিযোগ পাওয়া যায় এর আগে। বিশেষ করে তারা স্কুলছাত্রীদের ওপর হামলা এমনকি হাসপাতালে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছিল। এখন তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

Advertisement

এটাও ধারণা করা হয় যে, আইএস-কে’র তালেবানের তৃতীয় পক্ষ হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে তালেবানের সঙ্গে তাদের বড় পার্থক্যও বিদ্যমান। তারা অভিযোগ করে গোপন চুক্তির অংশ হিসেবে আমেরিকানরা আফগানিস্তানকে তালেবানের হাতে তুলে দিয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, আইএস এখন আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে যেটি আগামী তালেবান সরকারের জন্যও অশনিসংকেত।

১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলে নেওয়ার পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি পালিয়ে যাওয়ার কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তালেবান সরকার গঠনের কাজ শুরু করলেও আঞ্চলিক কয়েকটি সংগঠন তালেবানের বিরোধীতা শুরু করে। তালেবানের পূর্বের শাসনকাল নিয়ে জনমনে এক ধরনের অস্বস্তি তো আছেই। এর মাঝেই বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দিলো আইএস-কে।

এসএনআর/এএসএম

Advertisement