ক্যাম্পাস

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’কে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি

বঙ্গবন্ধুর লেখা‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’কে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি৷ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা কলেজ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন৷

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, আমাদের বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে জানার ক্ষেত্রে একটি বড় উদ্যোগ ঢাকা কলেজ নিয়েছিল, সেটি হলো- বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই সব শিক্ষার্থীকে বিতরণ করা এবং তার ওপর তাদের কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। ঢাকা কলেজের এই উদ্যোগটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি মনে করি এটি চালিয়ে নেওয়া দরকার। শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দুটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি যে অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি আমাদের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করাটা খুবই জরুরি। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানলে আমাদের ইতিহাস জানবো। একই সঙ্গে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের পথ তিনিই দেখিয়ে দিয়েছেন। কাজেই বঙ্গবন্ধুকে জানা মানে বাংলাদেশকে জানা, বঙ্গবন্ধুকে জানা মানে বাঙালির ইতিহাসকে জানা।

দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য পেরিয়ে জাতির পিতা হয়েছেন অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে। সেগুলো আমাদের জানতে হবে এবং তিনি যে জীবনবোধ ও মানবতাবোধ নিয়ে গড়ে উঠেছেন এবং যে মূল্যবোধগুলোর ওপরে এই দেশকে ও সমাজকে প্রতিষ্ঠা করে সোনার বাংলা নির্মাণ করতে চেয়ে ছিলেন আমাদেরও সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ দরকার। বঙ্গবন্ধু আমাদের যে রাষ্ট্রীয় নীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেছেন আমরা ঠিক সেই বৈষম্যহীন ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে অংশ নিচ্ছি। আমাদের বাতিঘর বঙ্গবন্ধু। তার দেখানো পথেই আমরা এগিয়ে চলেছি। এটি শুধু শিক্ষায় নয় বরং প্রতিটি ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই আমরা এগিয়ে চলছি।

Advertisement

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় যোগ দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল৷ এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার৷

ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা, শিক্ষক-শিক্ষিকারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের অধ্যক্ষরাসহ ঢাকার বাইরের কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষরাও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

নাহিদ হাসান/এমআরআর/জিকেএস

Advertisement