আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তান ইস্যুতে ধীরে চলার নীতিতে ভারত

আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন। আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে বিরোধীরা। ভারতীয়দের কাবুল থেকে কীভাবে সরিয়ে নেওয়া হবে তা ব্যাখ্যা করেছে কেন্দ্র।

Advertisement

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা নিয়ে কী ভাবছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চেয়েছে বিরোধীপক্ষ। এর জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আফগানিস্তানে তালেবান ইস্যুতে অন্যান্য দেশের মতো ধীরে চলার নীতিই অনুসরণ করছে ভারত।

৩১টি রাজনৈতিক দলের ৩৭ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সর্বদলীয় বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল ও সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের যে বার্তা দিতে চাই তা হলো, আমাদের সবারই মতামত এক। আফগানিস্তানের বিষয়ে আমাদের শক্তিশালী জাতীয় অবস্থান রয়েছে। আফগানিস্তানের মানুষের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতেই আমরা এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আফগানিস্তানে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করাই আমাদের লক্ষ্য। মানুষজনকে উদ্ধার করার জন্য সরকার সব ধরনের চেষ্টা করছে। কাবুল থেকে লোকজনকে উদ্ধার করার জন্য ৬টি বিমান পাঠিয়েছে সরকার। আফগানিস্তান থেকে বেশিরভাগ ভারতীয়কেই দেশে ফেরানো হয়েছে। তবে গতকাল কিছু মানুষ বিমানে উঠতে পারেননি। সে কারণে তাদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমরা অবশ্যই আফগানিস্তান থেকে সব ভারতীয়কে উদ্ধার করে আনার চেষ্টা করব। আমরা আফগানিস্তানের কিছু নাগরিককেও উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি।

Advertisement

এদিকে ফ্রান্স জানিয়েছে, আগামী শুক্রবারের মধ্যেই কাবুল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে। কাবুলে অবস্থানরত ফরাসি নাগরিক এবং দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগান নাগরিকদের শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স।

বৃহস্পতিবার আরটিএল রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী ক্যাসটেক্স জানান, এই সময়ের পর কাবুল বিমানবন্দর থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।

ফরাসি সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্বে রয়েছে মার্কিন সৈন্যরা। ৩১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলোর লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

টিটিএন/জিকেএস

Advertisement