রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের একটি বাসায় গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণে শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ সাতজনের মধ্যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকা চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি তিনজনকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থাও গুরুতর।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ সাত জনের মধ্যে চারজনকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা ‘ভেরি ভেরি ক্রিটিক্যাল’। এছাড়া বাকি তিনজনকে এইচডিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থাও ভালো না।’
ডা. আইয়ুব বলেন, আইসিইউতে ৮৫ শতাংশ পোড়া নিয়ে শফিকুল ইসলাম, ৪৫ শতাংশ পোড়া নিয়ে সুমন, ৮০ শতাংশ পোড়া নিয়ে রওশন আরা ও ৭০ শতাংশ পোড়া নিয়ে রিনা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
Advertisement
এছাড়া এইচডিইউতে ২৭ শতাংশ পোড়া নিয়ে নাসরিন নাজনীন, ১৫ শতাংশ পোড়া নিয়ে শিশু নওশীন ও ৩৮ শতাংশ পোড়া নিয়ে আছেন রেনু আক্তার।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জাগো নিউজকে জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি বাসায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। দগ্ধ সাতজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলামের মা রওশন আরা (৭০), ভাই শফিকুল (৩৫), ছোট বোন রিনা বেগম (৫০), বাসার নিচ তলার ভাড়াটিয়া নাজনীন আক্তার (২৫), তার মেয়ে নওশীন (৫), পাশের বাসার ভাড়াটিয়া রেনু বেগম (৩৫) ও পথচারি সুমন (৩০)।
দগ্ধ রওশন আরা বেগমের ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তাদের নিজেদের বাড়িতে। বাড়ির নিচতলায় তিতাস গ্যাসের লাইন লিকেজ ছিল। দুইদিন আগে লিকেজ মেরামত করা হয়। কিন্তু বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হঠাৎ বিকট আওয়াজ হয়, আগুন ধরে যায় নিচতলায়। এতে সাতজন দগ্ধ হন।
Advertisement
তিনি আরও জানান, পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির উদ্দিন জানান, ওই বাসায় কয়েকদিন গ্যাস ছিলো না। রাতে হঠাৎ গ্যাসের চাপ বেড়ে যায়। এসময় বাড়ির লোকজন গ্যাস রাইজার পরিষ্কার করছিল। হঠাৎ করে সেটা বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে সাতজন দগ্ধ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
টিটি/এমকেআর/এমআরএম/জিকেএস