ভ্রমণ

৬০ টাকায় ঘুরে আসুন মানিকগঞ্জের মত্ত মঠে

বিশাল এক মঠ। বয়স ২৫০ বছরেরও বেশি। মত্ত মঠ নামেই পরিচিত এটি। ঐতিহাসিক এই মঠের অবস্থান মানিকগঞ্জে। এই জেলাটি নানা প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক স্থানে সমৃদ্ধ।

Advertisement

সেখানকার তেমনই একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হলো মত্ত মঠ। মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় দেড় মাইল পূর্বে মত্ত গ্রামে মঠটি অবস্থিত। মানিকগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক এক নিদর্শন হলো এই মত্ত মঠ।

২৫০ বছরের পুরোনো হলেও আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মঠটি। ইতিহাস মতে, এককালে ওই স্থানে হেমসেন নামের এক অত্যাচারী জমিদার শাসন করতেন। অত্যাচারী হেমসেন তার বাবার শেষকৃত্যের স্থানে মঠটি নির্মাণ করেন।

জানা যায়, মঠটি নির্মাণ করতে ইরান থেকে কারিগর নিয়ে এসেছিলেন তিনি। মঠটি প্রায় ২০০ ফুট উঁচু। স্থানীয় নিটল দীঘির পাড়ে ১৫ শতাংশ জমির ওপর মত্ত মঠ অবস্থিত।

Advertisement

এই মঠটির কারুকার্য খচিত নির্মাণশৈলী দেখলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। কয়েকজন আমেরিকান পর্যটক ১৯৬৫ সালে মঠটি সংস্কার করার আগ্রহ দেখান।

তবে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা বাঁধা দিলে তা আর সম্ভব হয়নি। মঠ ছাড়াও মত্ত গ্রামের ঐতিহাসিক গুরুত্বও অনেক।

এই গ্রামে রামকৃষ্ণ সেন এবং তার ছেলে প্রসন্ন কুমার সেনের মতো বেশ কয়েকজন প্রতাপশালী জমিদার এককালে বাস করতেন।

শুধু মত্ত মঠ নয়, মানিকগঞ্জে গেলে ঘুরে আসতে পারেন আরিচা ঘাট, বালিয়াটি প্রাসাদ, তেওতা জমিদার বাড়িসহ ধানকোড়া জমিদার বাড়ি থেকে।

Advertisement

কীভাবে যাবেন?

ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে মাত্র ৫০-৬০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছে যাবেন মানিকগঞ্জে। সেখানে শিববাড়ি মোড়ে নামতে হবে। সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিতে মত্ত যেতে হেবে। দূরত্ব ৩ কিলোমিটার। একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন মত্ত মঠ থেকে।

জেএমএস/জিকেএস