দেশজুড়ে

বাবাকে দাফনের পর এলো প্রবাসী ছেলের মৃত্যুর খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বৃদ্ধ বাবার দাফন শেষ হওয়ার পর এলো প্রবাসী ছেলের মৃত্যুর খবর।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সাইপ্রাসের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা তিনি মারা যান।

মৃতরা হলেন- উপজেলা কুণ্ডা ইউনিয়নের কুণ্ডা বাজার এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক হামিদ হোসেন ও তার সোহেল হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. হামিদ হোসেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় গত ২০ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড়ে নিউ ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ২৪ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

Advertisement

অন্যদিকে ২৭ জুলাই সাইপ্রাসে থাকা ছেলে সোহেলের শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় তার পজিটিভ আসে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোহেলকে অন্য আরেকটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট রাতে মারা যান।

হামিদ হোসেনের ভাতিজা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমরান মিয়া বলে, আমার চাচাকে কবরে রেখে বাসায় আসার পরই ফোন আসে সাইপ্রাসে আমার চাচাতো ভাই সোহেল মারা গেছে। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সোহেল দ্বিতীয়। সাত বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসায় সাইপ্রাস পাড়ি জমায় সে। পড়াশোনার পাশাপাশি সাইপ্রাসের লিমাসলে ডলসি ক্লাবে কাজ করতো। গত বছর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়েও করে। এ বছর দেশে আসার কথা থাকলেও করোনায় তার সে ইচ্ছা আর পূরণ হলো না।

উপজেলার কুণ্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। একসঙ্গে তাদের দুজনকে হারিয়ে আমরা বাকরুদ্ধ। আমি হামিদ স্যারের সঙ্গে দুই যুগ শিক্ষকতা করেছি। উনার ছেলে সোহেল আমার ছাত্র ছিল।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/এএসএম

Advertisement